উজবেকিস্তান যাওয়া হচ্ছে না মাবিয়া আক্তার সীমান্তের। করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউনের ফাঁদে পড়ে গেলেন এই ভারোত্তোলক।
দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন। ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ই এপ্রিল থেকে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত আট দিনের লকডাউন দিয়েছে সরকার।
১৯শে এপ্রিল উজবেকিস্তান যাওয়ার কথা ছিল মাবিয়ার। উজবেকিস্তানে এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে পারলে মাবিয়ার অলিম্পিক ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়তো।
সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের কথা রয়েছে। মাবিয়া বলেন, ‘১৬ই এপ্রিল থেকে টুর্নামেন্ট শুরু। আমাদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল ২১শে এপ্রিল। আমাদের জন্য তো আর টুর্নামেন্ট বন্ধ থাকছে না।
অন্য প্রতিযোগীরা ভেন্যুতে চলে যাচ্ছেন। ফলে আমার ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই ক্ষীণ হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি মেনে নেয়া ছাড়া তো আর কিছু করার নেই।’
বিশ্ব ভারোত্তোলন ফেডারেশন বা ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) বিশেষ বিবেচনা একমাত্র ভরসা মাবিয়ার। তিনি বলেন, ‘করোনা ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের জন্য যেতে পারিনি সেটা যদি বিবেচনা করে তাহলে হয়তো আমার ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে। সেটা তাদের বিবেচনার ওপর। আর এই টুর্নামেন্টে আমি অংশ নিতে পারলে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়াটা আমার অধিকারই হতো তখন।’ অলিম্পিকে ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার জন্য সাতটি সিনিয়র টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে হয় এবং পারফরম্যান্স ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করতে হয়। মাবিয়া ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন এবং পারফরম্যান্সের গ্রাফ উর্ধ্বমুখিই ছিল। মাবিয়ার সাথে উজবেকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল আরও দুই ভারোত্তোলক মনিরা কাজী ও জিয়ারুল ইসলামের। তাদের সবারই টিকিট নিশ্চিত ছিল। বিশ্বের ১০ দেশের ১০ জন ভারোত্তোলককে দেয়া হবে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য ওয়াইল্ডকার্ড।