নারী ফুটবল লীগে রেফারিংয়ের জন্য ভারত থেকে দেশে এসেছিলেন জয়া চাকমা। তবে করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গেছে লীগটি। ফলে দুটি লীগ ম্যাচ ও বাংলাদেশ গেমসের একটি ম্যাচ পরিচালনা করেই ফিরতে হচ্ছে ফিফার প্রথম বাংলাদেশি নারী রেফারি জয়ার।
ভারতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছেন জয়া। বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশনের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী তিনি। নারী ফুটবল লীগে রেফারিংয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ২৮ শে মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল নারী ফুটবল লীগে দুই ম্যাচে রেফারি ছিলেন জয়া। কয়েকটি ম্যাচে চতুর্থ রেফারি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মহিলা ফুটবলেও কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ৫ই এপ্রিল থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়। যার কারণে স্থগিত হয়ে যায় নারী ফুটবল লীগ।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি পুরো পাল্টে গেলো। এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছিলাম। কয়েকটি ম্যাচ করলে রেফারিংয়ের অনুশীলন থাকতো। করোনার কারণে সেটি হল না। আমি আবার আসার চেষ্টা করব। আমাকে অনুশীলনের মধ্যে থাকতে হবে।’ সেমিস্টার বিরতিতে ও ছুটি নিয়ে বেনারস থেকে ঢাকায় আসা যাওয়ায় অনেক খরচ। রেফারিং যখন নেশা তখন খরচের দিকে তেমন ভাবেন না এই ফিফা নারী রেফারি। তিনি বলেন, ‘ফিফা রেফারি হতে আমার অনেক খরচ হয়েছে। একটি কানেক্টিভিটি ডিভাইস কিনেছিলাম ৫০০ ডলারের উপরে। ফিফা রেফারি যখন হয়েছি তখন সময় সুযোগ পেলে বাশি বাজাব।’
ফিফা রেফারি হওয়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন জয়া। করোনার জন্য এএফসি ও সাফের নারীদের প্রতিযোগিতাও সেভাবে হচ্ছে না। আজ সকালে ঢাকা থেকে দিল্লিগামী বিমানে ওঠার কথা জয়ার। এরপর দিল্লি থেকে ট্রেনে যাবেন বেনারস।