× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্যান্ট চুরি করে জরিমানা গুনলেন ছাত্রলীগ নেতা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

দোকান থেকে প্যান্ট চুরির পর ধরা পড়ে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে জুয়েল রানা। গত শনিবার জেলার তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজারে চুরি করলে সিসিটিভি ফুটেজে সেটি ধরা পড়ে এবং পরদিন রোববার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করেন। এদিকে, ওই ছাত্রলীগ নেতার প্যান্ট চুরির সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গোল্লাপাড়া বাজারের প্রদীপ সুপার মার্কেটে যান জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল। এ সময় প্রসেনজিৎ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে বসে দোকানের কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে একটি প্যান্ট নিয়ে চলে যান তিনি। বিষয়টি পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজে চোখে পড়ে ব্যবসায়ীদের। জুয়েল পরদিন আবার ওই মার্কেটে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে ৩২০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ সময় জুয়েল জরিমানা দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।

দোকানের মালিক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ বলেন, ‘শনিবার বিকালে প্যান্ট চুরির সময় আমি দোকানে ছিলাম না।
আমার ছোট ভাই দ্বীপ ছিল। পরে দোকানে এসে আমি প্যান্ট দেখতে না পেয়ে দ্বীপকে জিজ্ঞাসা করি। সেও বলতে পারে না। এরপরে দোকানের অন্য সব জায়গায় খুঁজে দেখে সেখানেও না পেয়ে পাশের একটি দোকানে সিটিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। সেখানে যাই, এর পরে চুরির ঘটনাটি দেখতে পাই।
প্রসেনজিৎ জানান, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জুয়েল রানাকে শনাক্ত করি। এ সময় তাকে ফোন দিলে জুয়েল রানা মুঠোফোনে না বলে সাক্ষাতে বলবে বলে তাকে জানায়। পরে জুয়েল মার্কেটে আসে এবং গোল্লাপাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সারওয়ার ও সম্পাদক পাপুল সরকারের উপস্থিতিতে ৩২০ টাকা জরিমানা দেয়।’
তবে প্যান্ট চুরি নয়, মজা করার জন্য প্যান্ট নিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা। তিনি বলেন, ‘আমি প্যান্টটা চুরি করিনি, মজা করেছি। সন্ধ্যায় মজা করে, সকালে ওই প্যান্ট পরে এসে টাকা দিয়ে দিয়েছি। একজন অপরিচত মানুষ আমাকে মার্কেটের পেছনে পানের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। এরপর থেকে আমি আর কথা বলতে পারিনি। নেশা নেশা লাগছিল। বিষয়টি অনেকেই জেনে যাবে তাই কথা না বলে প্যান্টটা নিয়ে যাই।’
আপনাকে সিসিটিভ ফুটেজে দেখা গেছে স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে যাচ্ছেন?  এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, ‘বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কোনো ব্যবসায়ী বা বাজার কমিটি অভিযোগ করলে খোঁজখবর নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর