× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে দামে অস্থির বাজার

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৩ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই সিলেটের বাজারে। গত ১০ দিনে দাম বেড়েছে হু হু করে। রমজানের আগে বাজারের এমন উত্তাপ নিয়ে হাঁসফাঁস করছেন ক্রেতারা। চালের বাজারে উত্তাপ আগে থেকেই। বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হলেও বাজারে এর প্রভাব এখনো পড়েনি। গত ৩ দিনে নতুন করে বেড়েছে চালের দাম। সবজির বাজারেও আগুন। গড়ে ৪০ টাকার নিচে কেজি প্রতি কোনো সবজিই মিলছে না।
বেড়েই চলেছে মাছ, মাংসের দামও। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজানের আগেই এমনিতেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এবার লকডাউন ঘোষণায় আরো দাম বেড়েছে। এদিকে, বাজারে আসা ক্রেতাদের চিন্তার অন্ত নেই। বাজারে এসে চাহিদার অর্ধেক পণ্য কিনতেই টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে মধ্যভিত্তরা ঝুঁকছেন টিসিবির পণ্য কিনতে। কিন্তু সেখানেও দেখা গেছে দীর্ঘলাইন। নগরীর বহ্মময়ী বাজারে আসা শেখঘাটের আব্দুল মতিন গতকাল জানিয়েছেন- সব পণ্যেরই দাম ঊর্ধ্বগতি। তেল, পিয়াজ, ছোলাসহ সব পণ্যের দাম বেড়েছে। লকডাউনের জন্য তাকে বাজার করতে হচ্ছে। লকডাউন ঘোষণা না হলেও হয়তো দু’এক দিন অপেক্ষার পর বাজার করতে হতো। এ কারণে বাজারে এসেছেন। কিন্তু বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। রিকশাচালক সুবেল আহমদ জানালেন, চালের দাম খুব বেশি। মোটা চাল কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। প্রতিদিন ৫০০ টাকা না হলে সওদা কেনা সম্ভব হবে না। কিন্তু এত টাকা কই পাবেন। এদিকে, চালের বাজার এবার আগে থেকেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এক মাস আগে থেকে বাজারে চালের দাম চড়া। এখন নতুন করে কেজিতে আরো ৪-৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত ৩ দিনে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মজুতদাররা ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। মোটা চাল কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ টাকা দিয়ে। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাক। যা ৭ দিন আগে ছিল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। শুকনা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। কিছুদিন আগেও সেটি বিক্রি হয়েছিল ১০০ টাকা দরে। দেশি রসুনেরও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা দরে। গত ১০ দিনে দু’দফা বেড়েছে পিয়াজের দাম। দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগেও সেটির দাম ছিলো ২০ টাকা। তবে- আনুপাতিক হারে এলসি’র পিয়াজের দাম কিছুটা কম। এরপরও এলসি’র পিয়াজের দাম বেড়ে এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আলু। ১৫ দিনের ব্যবধানে আগুন দাম দিগুন হয়েছে। কেজি প্রতি আলু এখন ২৫-২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই আলু কিছুদিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৪-১৫ টাকা দরে। বাজারে মাঝারি মানের মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন ১৩০ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল ১২১ টাকা লিটার। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকায়। বাজারে পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। ঢেড়শ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি। বেগুনেরর দাম বেড়েছে। এ ছাড়া, টমেটো, বাঁধাকপি, শাকসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। মাছের বাজারেও আগুন। গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি মাছের দামও বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুম না আসা পর্যন্ত মাছের দাম কমবে না। এখন বাইরের মাছ সিলেটে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ফিসারিজের মাছও শেষ হয়ে গেছে। রুই ও কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, বাজারে দাম বাড়লেও নিয়ন্ত্রণ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর