ইরানে আন্তর্জাতিক ‘ইমাম রেজা কাপ অ্যাথলেটিক্স’- প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাইল আহত হয়েছেন। তিনি আহত হয়েছেন লংজাম্পে অংশ নিতে গিয়ে। ইরানের মাসাদ শহরে গত সোমবার শেষ হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিয়েছেন ইসমাইল, আল-আমিন ও মাহফুজুর রহমান। শেষদিনে লংজাম্পে ইসমাইল ও আল আমিনের অংশ নেয়ার কথা ছিল। তবে প্রথম লাফেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লাগে ইসমাইলের। আল-আমিন ৬.৯৯ মিটার লাফিয়ে ১২ জনের মধ্যে নবম হয়েছেন। এর আগে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনালে বাংলাদেশের দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাইল অষ্টম হয়েছেন ১০.৯১ সেকেন্ড সময় নিয়ে। এই ইভেন্টে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন ইরাকের স্প্রিন্টার হোসেন আলী আল-খাফাজি ১০.৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে।
হাইজাম্প ইভেন্টে মাহফুজুর রহমান ২.০৫ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে দশজনের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছেন। গতকাল শেষদিনে লং জাম্প ইভেন্টে ইসমাইল ও আল-আমিন দু’জন অ্যাথলেটেরই অংশ নেয়ার কথা ছিল। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম লাফেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লাগে ইসমাইলের। আল-আমিন ৬.৯৯ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে লাফিয়ে ১২ জন অ্যাথলেটের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করতে সক্ষম হন। গতকালই অ্যাথলেটদের দেশে ফেরার কথা। এদিকে ইরান থেকে দেশে ফিরেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিন অ্যাথলেট। গতকাল কাতার এয়ার ওয়েজে করে বেলা সাড়ে চারটায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেন তারা। এর পরেই স্প্রিন্টার মো. ইসমাইল ও হাইজাম্পার মাহফুজুর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয় নৌবাহিনীর খিলক্ষেতে অবস্থিত শেখ মুজিব ঘাটিতে। সেখানেই তারা কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে পরিবার থাকায় বাসাতেই কোয়ারেন্টিনে থাকছেন লং জাম্পার আল আমিন। ইসমাইল বলেন, ‘লংজাম্প করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছিলাম। পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। ব্যথায় হাটতে পারছি না। ব্যথা নিয়েই সফর করে এসেছি। এখন বিশ্রামে রয়েছি। তবে কোয়ারেন্টিন শেষে চিকিৎসকের কাছে যাবো।’