× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল শিগগিরই /এ বছরই পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষা

এক্সক্লুসিভ

সোলায়মান তুষার
১৪ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল শিগগিরই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ শেষের পথে। বেশির ভাগ পরীক্ষক লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে জমা দিয়েছেন ইতিমধ্যে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে বহুল আলোচিত বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, এপ্রিল মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে বার কাউন্সিলের। করোনা ও অন্যান্য কারণে তা সম্ভব না হলে আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা ভাবছে বার কাউন্সিলের কর্তা ব্যক্তিরা। এদিকে পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়ারও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বার কাউন্সিল। এ সংক্রান্ত নোটিশ দেয়ার কাজ চলছে।
এ বছরের মধ্যেই পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, গত বছরের ১৯শে ডিসেম্বর ৯টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এ বছরের ২৭শে ফেব্রুয়ারি। জানা গেছে, কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি হওয়ায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে এ বছরের ২৭শে ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি কেন্দ্রে মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এদের মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন এবং করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। পরে ওই ঘটনায় রাজধানীর কয়েকটি থানায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে এমসিকিউ উত্তীর্ণ হন মাত্র আট হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। জানা গেছে, গত বছরের ২৬শে সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী আদেশ দেন। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে পূর্বের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল। করোনার কারণে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে শুধু ভাইভার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বার কাউন্সিলের অনড় অবস্থানের কারণে সে আন্দোলন ফলপ্রসূ হয়নি। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও পদাধিকারবলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, অতি দ্রুত আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষকরা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা জমা দিচ্ছেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ ফল প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, এপ্রিলের মধ্যেই এ ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নেয়া হবে। দ্রুততম সময় বলতে কি বোঝাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পরবর্তী এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর