× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলা হলো মসজিদের অজুখানা

বাংলারজমিন

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৪ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে কমলগঞ্জের কালীপুর ‘পাক পাঞ্জাতন জামে মসজিদ’ এর নির্মাণাধীন অজুখানা। সোমবার সন্ধ্যা রাতে অজুখানা ভাঙ্গার হুমকির পর গভীর রাতে অজুখানা ভাঙ্গা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালে কালীপুর গ্রামে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ৪ শতক জমি দান করেন কালীপুর গ্রামের মৃত হাজী খনিজা বিবি। পরবর্তীতে মসজিদ প্রশস্ত করার জন্য তার দুই ছেলে শিব্বির আহমেদ সামছুদ্দীন ও বোরহান উদ্দিন এবং তিন মেয়ে মিলে আরো সাড়ে ৬ শতক জমি মসজিদের নামে দান করেন। দানকৃত ওই জমিতে 'পাক পাঞ্জাতন জামে মসজিদ' নামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু মসজিদে কোনো অজুখানা না থাকায় গত সপ্তাহে অজুখানা নির্মাণ কাজ শুরু করে মসজিদ কমিটি। এতে বাঁধা দেন দাতা খনিজা বিবির বড় ছেলে হাজী আব্দুল হাই। কিন্তু মসজিদ কমিটি তার আপত্তি না মানায় গত রোববার (১১ এপ্রিল) তিনি কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করেন অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম।
ওইদিন তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন। এবিষয়ে পরদিন সোমবার সন্ধ্যা রাতে কমলগঞ্জ থানার সামনে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক সালিশ বৈঠকে বসেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয় পক্ষের বক্তব্য চলাবস্থায় কালীপুর গ্রামের আছলম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন। সালিশে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ায় সালিশ বৈঠক মুলতবি করে আগামী শুক্রবার মসজিদে পঞ্চায়েত কমিটি বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তার আগেই সোমবার গভীর রাতে মসজিদের অজুখানা ভেঙ্গে ফেলা হয়। স্থানীয় মুসল্লি সহ মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ এর অভিযোগ রাতের আধারে হুমকি দাতা খোকন গংরা অজুখানা ভেঙ্গে ফেলেছেন। তবে অজুখানা ভাংচুরের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান অভিযুক্ত হাজী আব্দুল হাই। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কালীপুর পাকপাঞ্জতন জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ। অভিযোগে আছলম মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া ও হাজী মফিজ আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে আসামী করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাতের আধারে কে বা কারা নির্মাণাধীন অজুখানার বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে। কারা ভেঙেছে তা এখনো নিশ্চিত নয় ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর