প্রায় ১৩ লাখ টন দূষিত পানি সাগরে ফেলতে যাচ্ছে জাপান। ২০১১ সালে সুনামির পর ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে এই দূষিত পানি ধারণ করা হয়েছিল। তবে একে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে চীন। দেশটি বলছে, এমন কাজ করার আগে জাপানের উচিৎ তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। তবে জাপান বলছে, সাগরে ফেলার আগে পানিতে থাকা বিভিন্ন আইসোটোপ দূর করা হবে। তবে এরপরেও পানিতে থেকে যাবে ট্রিটিয়াম নামের বিপজ্জনক আইসোটোপ। এটিকে আলাদা করা যায় না। এটিকে পাতলা করে বিপজ্জনক মাত্রার নীচে নামানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
জাপানের দাবি, পরমাণু কেন্দ্রের দূষিত পানি এভাবে সাগরে ফেলার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী চালু আছে।
ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, সাগরে পানি ছাড়ার প্রথম ধাপ শুরু হতে দুই বছর লাগতে পারে। এর মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী সংস্থা টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার পানি বিশুদ্ধ করার কাজ করবে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলবে এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থেকে অনুমোদন নেয়ার কাজ করবে। অলিম্পিক আয়োজনে ব্যবহার হয় এমন প্রায় পাঁচশ সুইমিংপুলের সমান পানি সাগরে ফেলা হবে। জাপানের এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, জাপান বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি মেনে কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।