সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সাধারণ মানুষের জন্য তুলনামূলক কম দামে পণ্য বিক্রি করছে। চলমান লকডাউনের মধ্যেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। মানুষ এসব পণ্য টিসিবির পরিবেশকদের ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে কিনতে পারছেন।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ফটকের পাশে টিসিবির ট্রাকের সামনে মানুষের তুমুল ভিড়। এক দেখাতেই বুঝা যায়, সেখানে শুধু সাধারণ মানুষই নন, অনেক অবস্থাপন্ন ঘরের মানুষও স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
পাশেই বাগেরহাট থেকে আগত রিক্সাচালক মাহমুদ ট্রাফিক পুলিশ সুলতানের কাছে অভিযোগ করছিলেন, ‘ভাই ঐ দেখেন জামাই-বৌ দেড় লাখ টাকার হোন্ডা থাইকা নাইম্যা সব লইয়া যাইতাসে। গরীবের হক মারতাসে।‘
মাহমুদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলো। টিসিবির ট্রাকের সামনেই রাখা একটি বিলাসবহুল মোটরসাইকেল। একজন পুরুষ এবং একজন নারী মোটরসাইকেলের পণ্য রাখার বাক্সতে ভরে, এবং আলাদা একটি বস্তাভরে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন। রিক্সাচালক মাহমুদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুরুষটি বললেন, ‘কি করবো ভাই! দেশে এখন সবাই গরীব।
গরীবের হক মারার সুযোগটা কই?’
তার সাথে আলাপচারিতার ফাঁকেই চোখে পড়ে- একটি মাইক্রোবাস ট্রাকের সামনে হঠাৎ থেমে গেলো, একজন গাড়ির দরজা খুলে দিলো। ট্রাকের সামনে থেকে দুজন ব্যক্তি পণ্যভর্তি চারটি বস্তা চোখের পলকে তাতে উঠিয়ে দিলে দরজা বন্ধ করে মাইক্রোবাসের লোকটি গাড়ি চালু করে সাঁই করে চলে যান।
এছাড়াও, টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো লোকজনের মধ্যে একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিককেও পাওয়া গেলো। 'কি করবো ভাই! পেট চলে না', তার সাবলীল উত্তর।