× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আসমানী কিতাব নাজিলের মাস

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এম এ করিম ইবনে মছব্বির
১৪ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় হলো রমজান মাসের রোজা। আর রোজা হলো সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয় দ্বারা গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা। আজ দ্বিতীয় রমজান। করোনাভাইরাসকালীন এবারের রমজানে কারো রক্তের টেস্ট পজেটিভ, আবার কারো নেগেটিভ। এই রকমই রক্তের পজেটিভ, নেগেটিভের রোগের দোলাচলে দোল খাচ্ছে আমাদের জীবনের সকল আশা এবং ভরসার নিত্যনৈমিত্তিক জীবনযাত্রা। কে কখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন, সেটা তো আর কারো জানা নেই। কিন্তু মহান আল্লাহর ফরজ বিধান সমূহ যখন উপস্থিত হয়, সেগুলোও পালন করতে হয়। শারীরিক ওজর থাকলে পরবর্তীতে কাযা আদায় করে নিতে হয়।
রমজান মাসে যদি কোনো রোজাদার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে বিধান হলো, ‘ফাইদ্দাতুম মিন আইয়ামিন উখার’। অর্থাৎ অসুস্থ রোগী বা মুসাফির ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে যে কয়টা রোজা রাখা সম্ভব হয়নি সেগুলো সুস্থ হয়ে উঠলে কাযা রোজা রাখা। ফাআলাইহিল কাযা অর্থাৎ তার উপর কাযা ওয়াজিব। যে রোগী ব্যক্তি এবং মুসাফিরের অপরিহার্য রোজার মধ্যে শুধুমাত্র সে পরিমাণ রোজার কাযা করা ওয়াজিব, অর্থাৎ রোগী পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর এবং মুছাফির বাড়ি ফেরার পর যে কয়েক দিনের সুযোগ পাবে। কিন্তু সে ব্যক্তি যদি এতটুকু সময় না পায়, এবং এর আগেই মৃত্যুবরণ করে তবে তার উপরে কাযা কিংবা ফিদইয়ার জন্য অছিয়ত করা জরুরি নয়। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন স্বীয় ওহি এবং সকল আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করার জন্য পবিত্র রমজান মাসকে নির্বাচিত করেন। আল কোরআনও পবিত্র রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়। মুছনাদে আহমদে হযরত ওয়াছিলা ইবনে আছকা থেকে বর্ণিত যে, রাছুলে পাক (সা.) বলেছেন যে, আল্লাহ পাক প্রথম রমজানে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর উপর ছহিফা নাজিল করেন। আর রমজানের ষষ্ঠ দিনে হযরত মুছা (আঃ)-এর উপর তাওরাত কিতাব নাজিল করেন। তেরোতম রমজানের দিনে হযরত ইছা (আঃ)-এর উপর ইঞ্জিল কিতাব নাজিল করেন। এবং বারো রমজানে হযরত দাউদ (আঃ)-এর উপর যাবুর কিতাব নাজিল করেন। আর পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেন পবিত্র শবেকদরের রাত্রিতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর