× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চালের দাম বৃদ্ধির কারণ জানালেন অর্থমন্ত্রী

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১৫, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৫:০২ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি

করোনার কারণে কৃষকরা ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় চলতি বছর চালের সরবরাহ কম হয়েছে, ফলে বাজারে চালের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

৮-১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতির পরও বাজারে চালের দাম অনেক বেশি, এর কারণ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ধান, চাল এবং গম প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। আমরা দাবি করি- আমরা খাদ্যশস্যে স্বাবলম্বী। খাদ্যশস্যে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি সেই বছর যে বছর আমাদের প্রকৃতি স্বাভাবিক থাকে। যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ আসে সেটা আমরা মেইনটেইন করতে পারি না। আমাদের এখানে যে পরিমাণ জমি, দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে তা যথাযথ কাজে লাগাতে পারলে আমরা সফল সেই বছর।

তিনি বলেন, গত বছরও আমাদের অনেক বোরো নষ্ট হয়েছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য একটি প্যাকেজ নেয়া হচ্ছে, সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। ভারতেও সেভাবে কৃষিতে সফলতা পায়নি। আমাদের পাশের যেসব দেশ যেমন থাইল্যান্ড তাদেরও ঘাটতি আছে।
করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বই আমাদের চেয়ে অনেক দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর কারণে কৃষিকাজ কৃষকরা করতে পারেনি। স্বাভাবিক কাজ যেমন ব্যাহত হয়েছে তেমনি কৃষিও ব্যাহত হয়েছে। এর কারণে সরবরাহ কমে গেছে, ফলে চালের দামটা বেশি।

অর্থের অপচয়রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের পরামর্শের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট প্রণয়নের জন্য আমাদের একটি টিম আছে, সেই টিম কাজগুলো করবে। আমরা পরামর্শগুলো পেয়েছি, সেগুলো আমরা বিবেচনা করবো।

গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাইখ সিরাজ খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো, পোল্ট্রি শিল্পের দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। নঈম নিজাম নিউজপ্রিন্টের ওপর আরোপিত কর কমানো, করপোরেট ট্যাক্স কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আমাদের বিভিন্ন কাজ সময়মতো হয় না বলে অপচয় হয়, সেই অপচয় বন্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম আলোচনায় অংশ নেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর