কুমিল্লার দেবিদ্বারের আল ইসলাম নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের সময় পেটে গজ রেখে দেয়ার ৫ মাস পর ২য় বার অপারেশন করে গজ বের করা হয়েছে। এ ঘটনায় শারমিন আক্তার (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ এনে ৩ চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রসূতির বাবা স্কুলশিক্ষক মোবারক হোসেন। মামলায় অপারেশনকারী সার্জন ও দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রোজিনা আক্তার, ওই প্রাইভেট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীমা আক্তার লিন্টা, অ্যানেসথেসিয়া ডা. মেহেদুল হাসান পারভেজ, হাসপাতালের চেয়ারম্যান নজির আহমেদ ও গ্রাম্য চিকিৎসক সফিকুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। শারমিনের বড় ভাই রহুল আমিন জানান, গত বছরের ৫ই নভেম্বর মুরাদনগর উপজেলার মোগসাইর গ্রামের রাসেল মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে দেবিদ্বার আল ইসলাম হসপিটালে সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই হাসপাতালের খণ্ডকালীন চিকিৎসক ডা. রোজিনা আক্তার ও তার সহযোগী ডা. শামীমা আক্তার লিন্টাসহ অন্যরা। পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ব্যথা আরো বেড়ে গেলে তাকে কুমিল্লা ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সর্বশেষ গত ৬ই এপ্রিল জেলার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে তার অপারেশন করে পেট থেকে গজ বের করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় গত শনিবার ভোরে তাকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়েছিল এবং সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
।