গুণী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করছেন তিনি। এই ছবিতে খন্দকার মোশতাকের চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। এরইমধ্যে ভারতে তিনি শুটিং শেষ করেছেন। খন্দকার মোশতাকের চরিত্রে অভিনয় কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতিহাসের পাতা থেকে যাদের পর্দায় তুলে আনা হয়, সেসব চরিত্রে অভিনয় অসম্ভব চ্যালেঞ্জিং। এর জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে এর বিকল্প নেই। তাই খন্দকার মোশতাকের চরিত্রে অভিনয় আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজের একটি।
নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে কাজ করেও বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে এই অভিনেতার আরো ছয়টি ছবি। এগুলো হলো গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘পাপপুণ্য’, শোয়াইবুর রহমান রাসেলের ‘নন্দিনী’, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’, মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, রাজীব আহসানের ‘উড়াল’ এবং এখলাস আবেদীনের ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’। চলচ্চিত্র ও নাটকের পাশাপাশি ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন বাবু। অনলাইনের এসব আয়োজনে দর্শকের আগ্রহ কেমন চোখে পড়ছে? তিনি বলেন, যদিও অনেক সমালোচনা শোনা যাচ্ছে ওয়েব সিরিজের কাজের মান নিয়ে, তারপরও ভালো কাজ কিন্তু থেমে নেই। অনলাইন আমাদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাই আমাদের উচিত, এখানে কাজের মাধ্যমে নিজেদের পরিচিতি গড়ে নেওয়া। এছাড়া এখন তো দর্শক টিভির চেয়ে অনলাইনে নাটক-টেলিছবি বেশি দেখে। বাবু সম্প্রতি ‘বদমাইশ পোলাপাইন’ শিরোনামে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন। এটি পরিচালনা করেছেন মাবরুর রশিদ বান্না। কয়েকজন বন্ধু, তাদের বাবা ও তিনজন শিক্ষককে নিয়ে এর গল্প রচিত হয়েছে। এতে তিনি বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। করোনার এই সময় নিয়েও বাবু কথা বলেন। খুব জরুরী না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না তিনি। সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধও জানান এই অভিনেতা।