× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফিরে আসুন স্বর্ণালী অধ্যায়ের সাক্ষী হতে

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ১৬, ২০২১, শুক্রবার, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

একটি ছবি। অনেক কিছুর স্বাক্ষী। কবরী সারোয়ের যে ছবিটি এই প্রতিবেদনে যুক্ত তা একটি হাসপাতালের। স্বর্ণালী এক অধ্যায়ের সূচনা করা মানুষটি বর্তমানে লড়ছেন করোনার সঙ্গে। আছেন লাইফ সাপোর্টে। একের পর এক রুপালি ফিতায় যিনি উপহার দিয়েছে অসংখ্য স্বর্ণালি মুহুর্ত। আজ তিনিই আছেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বাংলার মানুষের মনে গেঁথে আছেন এক স্বর্ণালি অধ্যায় নিয়ে।
চাওয়া একটাই তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। আবারও হাঁটুন চলচ্চিত্রের লাল গালিচায়, রাজনীতির মাঠে।  
বর্ণাঢ্য জীবন কবরী সারোয়ারের। ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব কবরীর। এরপর ধীরে ধীরে টেলিভিশন এবং সিনেমা জগতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি চলে যান তিনি। সেখান থেকে ভারত পাড়ি দেন। কলকাতা গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে বিভিন্ন সভা-সমিতি ও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবারও চলচ্চিত্র জগতে মনোনিবেশ করেন কবরী সারোয়ার। সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবির নায়িকা হিসেবে অভিনয় জীবনের শুরু কবরীর। এরপর থেকে প্রায় একশ’টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে হীরামন, ময়নামতি, চোরাবালি, পারুলের সংসার, বিনিময়, আগন্তুকসহ জহির রায়হানের তৈরি উর্দু ছবি ‘বাহানা’ এবং ভারতের চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১৯৭৮ সালে নায়ক ফারুকের বিপরীতে ‘সারেং বউ’ ছবিতে অভিনয়ের পর সারেং বউ নামে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।
২০০৫ সালে ‘আয়না’ নামের একটি ছবি নির্মাণের মাধ্যমে চিত্রপরিচালক হিসেবেও তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পরেন তিনি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। যুক্ত হয়েছেন অসংখ্য নারী অধিকার ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সাথে।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭ তে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্মৃতিটুকু থাক’। সবশেষ সরকারি অনুদানের একটি ছবি নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। নাম ‘এই তুমি সেই তুমি’। শুধু পরিচালনা নয়, এই ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখার দায়িত্ব ও তিনি সামলাচ্ছিলেন। এছাড়া ছবিতে তিনি অভিনয়ও করবেন। এরইমধ্যে এ ছবির শুটিংও করেছেন কবরী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর