× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সহকর্মীদের শোক

বিনোদন


১৮ এপ্রিল ২০২১, রবিবার

কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র তথা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। শোক প্রকাশ করেছেন কবরীর দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও একই অঙ্গনের মানুষেরা। তাই তুলে ধরা হলো-

শাবানা: খবরটি শোনার পরই আমি বাকরুদ্ধ। কবরী নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। একটা কথাই বলবো, কবরী একজনই হয়। আমি তার জন্য দোয়া করছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক।  

আলমগীর: কবরীর সঙ্গে আমার ৫০ বছরের স্মৃতি।
প্রায় ২৫টি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। তার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। কবরীর সঙ্গে কাটানো স্মৃতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের প্রতিদিন ঝগড়া হতো, আবার মিলেও যেতাম। এ রকম একটা বন্ধুত্ব ছিল ওনার সঙ্গে। সত্তর দশকে আমি, চিত্রগ্রাহক মাহফুজ আর কবরী এই তিনজনের একটা গ্রুপ ছিল। আমরা খুব আড্ডা মারতাম একত্রে। অনেক স্মৃতি আছে। ওনার (কবরী) বাসাতেই আড্ডা মারতাম। তারপর গাড়ি নিয়ে বের হতাম। তখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে খাওয়াতে নিয়ে যেতো। আমাদের পয়সা ছিল না। এফোর্ট করতে পারতাম না। কবরীর তুলনা কবরী নিজেই। অভিনেত্রী কবরীকে মূল্যায়ন করার মতো ধৃষ্টতা আমার নেই।

ববিতা: কানাডা থেকে রাজ্জাক ভাইয়ের ছেলের বউ জানালো এই দুঃসংবাদটা। তারপর থেকে বুক ধরফর করছে। একটা সেকেন্ডও আর ঘুম হয়নি। আমার আশা ছিল কবরী আপা ফেরত আসবেন। কারণ জুয়েল আইচ লাইফ সাপোর্ট থেকে ফেরত এসেছে। আরো অনেকে এসেছে। আমার ধারণা ছিল কবরী আপাও চলে আসবেন। কিন্তু তার আর হলো না। রাজ্জাক ভাই যেদিন মারা গেলেন সেদিন এফডিসিতে গেলাম দেখতে। ঐদিনই কবরী আপার সঙ্গে শেষ দেখা হয়। তারপর আর দেখা হলো না। খবরটি শোনার পর শরীর ও মন কিছুই ভালো লাগছে না। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক। এই দোয়া করি।

উজ্জ্বল: এই চলে যাওয়াটা মেনে নেয়া যায় না। তবুও মেনে নিতে হয়। একদিন আগেই সে মারা গেল। এখন কবরী শুধুই স্মৃতি। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

অঞ্জনা: আরেকটি নক্ষত্রের পতন। কবরী আপা নেই, মানতে পারছি না। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এত বড় শোক মেনে নেয়ার মতো না। বিনম্র শ্রদ্ধা সব সময় আপনার প্রতি। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম স্বর্ণমুকুট হয়ে থাকবেন চিরজীবন।

সুবর্ণা মুস্তাফা: কবরী ফুপুর হাসি, অভিনয়, মিষ্টিমুখ- সকল বয়সের মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছে। রূপালী পর্দার সেরা অভিনেত্রী। আমি কীভাবে তাকে বিদায় জানাবো! দমবন্ধ লাগছে! শান্তিতে থাকুক কবরী ফুপু।

শাকিব খান: চলচ্চিত্রের যারা পথপ্রদর্শক তারা একে একে চলে যাচ্ছেন। সেই পথে পাড়ি দিলেন আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী আপা। চলচ্চিত্রের প্রাজ্ঞজনদের একজন ছিলেন তিনি। পর্দার মিষ্টি মেয়ে হিসেবে খ্যাতি পেলেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত ব্যক্তিত্ববান মানুষ। কিংবদন্তি এই মানুষটির সঙ্গে আমার অসংখ্য স্মৃতি। যখনই দেখা হতো স্নেহ করতেন। তার সময়কার বিভিন্ন স্মৃতি শেয়ার করতেন। কবরী আপার মৃত্যুতে একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি।

জয়া আহসান: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যে খুব প্রশস্ত একটা রাজপথে উঠে গেছে, তা নয়। তবু আমরা যারা এ পথ ধরে হাঁটছি, সেটি যাদের কষ্টে তৈরি হয়েছে কবরী তাদের একজন। কোত্থেকে এসে সারা দেশের চিত্ত জয় করেছিলেন নিমেষে। পাকিস্তান আমলের উর্দু ছবির রাজত্বে তিনি আর রাজ্জাক বাংলা ছবিকে কী জনপ্রিয়ই না করে তুলেছিলেন। তার চরিত্রের মধ্যে বাঙালি মেয়ের সজল প্রতিচ্ছবি পেয়েছিলেন দর্শকরা। তিনি আকাশে জ্বলজ্বল করবেন সব সময়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর