চিত্রনায়ক ওয়াসিম ২০১০ সালের পর থেকে এফডিসিতে যান না, যোগ দেন না কোনো টিভি অনুষ্ঠানেও। লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিলেন এক সময়ের সুপারহিট এ নায়ক। এই আড়ালে চলে যাওয়ার গল্পটাও মর্মস্পর্শী। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে হারানোর শোক সহ্য করতে না পেরেই নিজেকে আড়াল করে রেখেছিলেন এই অভিনেতা। ২০০০ সালে তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যু ঘটে। ২০০৬ সালে তার কন্যা বুশরা আহমেদ চৌদ্দ বছর বয়সে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাঁচতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। স্ত্রী আর কন্যার অকাল মৃত্যু ওয়াসিমের জীবনে বিষাদ নেমে আসে। সব কিছু থেকে দূরে সরে যান তিনি।
বেছে নিয়েছিলেন একাকী জীবন। ওয়াসিমকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে জীবন রহমান পরিচালিত ‘কাঁকন দাসী’ ছবিতে। তবে এই ছবির নির্মাণ কাজ আর শেষ হয়নি। ঢাকাই সিনেমার শক্তিমান এক নাম ওয়াসিম। ‘৭০’ ও ‘৮০’ দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। নায়ক হিসেবে তার ছিল দুর্দান্ত সাফল্য। সেই সোনালী যাত্রার সমাপ্তি হলো ১৭ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে। রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তার মৃত্যুর খবরে শোক নেমেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় ওয়াসিমের প্রথম সিনেমা। এরপর প্রায় দেড় শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।