লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৫ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও কোরআনে হাফেজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা হচ্ছেন উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের, ৬নং ওয়ার্ডের লামছড়ি গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের পুল নামক এলাকার মাইনউদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা। কোনো মতে একবেলা খেতে পারলে অন্যবেলা তাদের উপোস থাকতে হয়। পরিবারটি দু’বেলা খেয়ে-পরে বাঁচতে চায়।
পরিবারের কর্তা হাফেজ ইসমাইল হোসেন জানান, অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী। এই রমজানেও কয়েকদিন সেহ্রি না খেয়ে রোজা রাখতে হয়েছে তাদের। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ ইসমাইল হোসেন (৫০) আরো বলেন, তার তিন ছেলে ও এক বড় বোন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। বড় ছেলে রহমত উল্যা (৩০) মেজো ছেলে আয়াত উল্যা (২৭) ছোট ছেলে নেয়ামত উল্যা (১২) এবং বড় বোন আমেনা বেগম (৫৫)।
তারা সবাই জন্মগতভাবেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। বড় বোন আমেনা বেগম ভাইয়ের সংসারেই থাকেন। হাফেজ ইসমাইল হোসেনের মা ও বাবা দু’জনেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছিলেন। বাবা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাফেজ কেরামত আলী পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে এবং মা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রোমানা বেগম তিন বছর আগে খাদ্যনালী শুকিয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যান।
হাফেজ ইসমাইল হোসেন জানান, অর্থ সংকট মাথায় নিয়ে প্রতিদিন ভোরে তাদের পরিবারের ঘুম ভাঙে। পরিবারে রোজগার করার মতো কেউ নেই। এজন্য তাদের অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হয়। সমাজের বিত্তবানরা সুদৃষ্টি দিয়ে ঠিকমতো জাকাতের অর্থ দিলেই তারা বেঁচে থাকতে পারে। তাই সরকার ও বিত্তবানদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য পরিবারটি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
কেরোয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরিবারটির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় সময় কিছু না কিছু সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। ওই পরিবারের দু’জন সদস্য নিয়মিত ভাতা পান। তারপরও সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে তাদেরকে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই পরিবারের প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সব সময় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের জন্য সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, মো. আয়াত উল্যা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৩৮৪৮, ইসলামী ব্যাংক, রায়পুর শাখা, লক্ষ্মীপুর। মোবা: ০১৭২৭৫৬০৪৩৭।