× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে ১০ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রাজুর, প্রেমিকার বিরুদ্ধে মামলা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার

সিলেটে ১০ দিনেও ফেরেনি অপহৃত মোটরসাইকেল রাইডার গোলাম কিবরিয়া রাজুর জ্ঞান। অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। রাজু সিলেট নগরের উত্তর বালুচর আল-ইসলাহ ১৮/২ এর মৃত আকদ্দছ আলীর পুত্র। তার মূল বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঢারখখাই আদিনাবাদ কাপন গ্রামে। নগরীর উত্তর বালুচর বোনের বাসায় থেকে মোটরসাইকেল রাইডারের কাজ করতেন।
রাইডার গোলাম কিবরিয়া রাজু ৮ই এপ্রিল মোটরবাইক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। রাত ১০টার দিকে তাকে মোটরবাইকসহ কদমতলী হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় কেউ কেউ দেখতে পান বলে তার ভাই গিয়াস জানান।
ওইদিন রাত ১১টার পরে তার কোনো হদিস মেলেনি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকাল পৌনে ৮টার দিকে মোগলাবাজার থানাধীন গফুরগাঁও এলাকার একটি যাত্রী ছাউনী থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোটরবাইক, মোবাইল ফোন ও টাকা কিছুই পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে স্বজনরা ওসমানীতে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। পরে তাকে নগরের উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় গতকাল তাকে ফের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই অচেতন রাজু।
এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় রাজুর বড় ভাই গিয়াস আহমদ বাদী হয়ে ১০ই এপ্রিল মামলা করেছেন। মামলায় রাজুর প্রেমিকা খালেদা আক্তারসহ কয়েকজনকে সন্দিগ্ধ আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন- তার ভাই গোলাম কিবরিয়া রাজুর সঙ্গে এক বছর পূর্ব থেকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মকবুলাবাদ গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে খালেদা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অসম্মতিতে খালেদা রাজুকে বিয়েও করে ফেলে। কিন্তু স্বজনরা রাজুর সঙ্গে খালেদাকে ঘরসংসার করতে দেননি। উল্টো খালেদাকে তালাক দেয়ার জন্য রাজুর ওপর চাপ অব্যাহত রেখে আসছে। বাদী গিয়াস আহমদের ধারণা রাজুর প্রেমিকা খালেদা আক্তার, খালেদার ভাই লিটন মিয়া, দূর সম্পর্কের ভাই আব্দুল কাদির পিয়া ও আব্দুল মালিক মিলে রাজুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে মোটরসাইকেল মোবাইল ফোন ও টাকাকড়ি রেখে মারপিট করে মৃত ভেবে তাকে যাত্রী ছাউনিতে ফেলে চলে যায়। মোগলাবাজার থানার ওসি শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আহতের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখে সন্দেহভাজন আসামিদের প্রতি পুলিশি নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর