× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেই চিকিৎসকের সঙ্গে কী হয়েছিল পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ এপ্রিল ২০২১, সোমবার

সর্বাত্মক লকডাউন চলাকালে পরিচয়পত্র চাওয়া নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে একজন চিকিৎসকের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মানবজমিন-এর ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ এ ঘটনার ভিডিও দৃশ্য ধারণ করেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়। মানবজমিন-এর সূত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদমাধ্যম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে। পরে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি প্রাইভেট কারযোগে এলিফ্যান্ট রোডের ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট তার গাড়ি থামিয়ে ডাক্তারের অ্যাপ্রোন পরিহিতা জেনির পরিচয়পত্র দেখতে চান। বারবার অনুরোধ করেও 
তার কাছ থেকে পরিচয়পত্র দেখতে পাননি উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা। জেনি জানান, তিনি পরিচয়পত্র বাসায় রেখে এসেছেন।
ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন ডাক্তার জেনি।
নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে পুলিশ সদস্যদের গালিগালাজ করতে থাকেন। তিনি বলেন, করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।
এ সময় নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কাইয়ুম ওই নারীকে বলেন, আপনি আমাদের ধমক দিচ্ছেন কেন? জবাবে ডাক্তার বলেন, আমি বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর মেয়ে। জবাবে ওসি বলেন, আমিও মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আপনি আমাকে শোনাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার কথা।
ডাক্তার তখন নিজের পরিচয় সম্পর্কে বলেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীরবিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।
একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ডাক্তার জেনি বলেন, ‘তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই, তাই তুই পুলিশ। আমি চান্স পাইছি তাই আমি ডাক্তার। এ সময় নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক। এ সময় পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বলেন, আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন? এক পর্যায়ে পুলিশকে তিনি আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলছে, আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।
গাড়ির গ্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে তখন ওই নারী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। এ সময় ডাক্তার জেনি তাদের বলেন, আর আমি কে, সেটা এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা। এই কথা বলে এক ঊর্ধ্বতনকে কল করছিলেন। ফোনে ওপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে পুলিশ তাকে হয়রানি করছে জানিয়ে ফোনটি পুলিশ সদস্যের হাতে তুলে দেন কথা বলার জন্য। এ সময় তিনি একটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এক পর্যায়ে ডাক্তার তার কাছে পুলিশ সদস্যদের ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। খবর পেয়ে ডাক্তারের অন্য সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে বিষয়টি সমাধান হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পরে ডাক্তার জেনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর