বৃহস্পতিবার ৩১ মে ২০০৭ দিন ৪৯আমার বাড়িতে পাওয়া অ্যালকোহলের কারণে আমার বিরুদ্ধে অ্যালকোহলের চোরাচালানি হিসেবে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। কোনোরকম সুনির্দিষ্ট কর্তৃত্ব ছাড়াই দেশে পরস্পর সমান্তরাল দুটি সরকার পাশাপাশি কাজ করছে, যা একটি বিপজ্জনক বিষয়। এদের একটি হলো সাধারণ মানের বেসামরিক সরকার। এদের কাজ হলো দৈনন্দিন রুটিনমাফিক কাজগুলো করা। এদের অস্তিত্ব অনেকটা রাজনৈতিক বক্তব্যবিহীন সম্প্রসারিত আমলাতন্ত্রের ন্যায়। অন্যটি অর্থাৎ প্রকৃত সরকার হলো সেনাবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বাধীন অদৃশ্য সরকার, যা অদৃশ্য হলেও সর্বত্র পরিদৃশ্যমান।
নতুন প্রধান বিচারপতি তার আসন গ্রহণের পর জনসাধারণের মনে প্রচুর প্রত্যাশা উজ্জীবিত হলেও তাদের দুর্দশা মোচনে তিনি আজ পর্যন্ত একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তও দিতে পারেননি। জরুরি অবস্থা বহাল থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্ট ডিভিশন নিবর্তনমূলক আটকাদেশ ও জামিনের অধিকারের ক্ষেত্রে যেরকম সাহস দেখিয়েছেন সে তুলনায় আপিল ডিভিশনের ভূমিকাকে নিন্দনীয়ই বলা যায়। আমাদের জন্য এ এক অপরিসীম লজ্জার বিষয়।
আমরা বড় গলায় বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের কথা বলি। অথচ বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও স্বাধীনতা যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের কোনো ব্যক্তিত্বের দেখা পাই না।
ড. মোশাররফ হোসেন, আলতাফ চৌধুরী, মোসাদ্দেক আলী ফালু, মো. নাসিম এবং আরো এই জেলখানায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে এই সেলে নিয়ে আসা হবে। নাজমুল হুদাও ওদের মধ্যে একজন।
শনিবারের বদলে আজ একা এসেছিল শহীদ।
শুক্রবার ১ জুন ২০০৭ দিন ৫০জরুরি আইনের অধীনস্থ এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট এই সরকার স্বাভাবিক মানের এক মানের একটি সরকার নয়। বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কেও একই কথা বলা যায় যেখানে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তি সুপ্রীম কোর্ট অবধি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখেন না। যেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ কারো সম্পত্তি তদন্ত শুরু করার আগেই কিংবা তা এক আদালত থেকে কোনো রায় আসার আগেই সব জব্দ করে নেওয়া হয়, তখন বিচার প্রক্রিয়ায় যত দুর্বলতাই থাকুক না কেন, কিংবা বিচার প্রক্রিয়া যতটা অবৈধই প্রতিপন্ন হোক না কেন, সুপ্রীম কোর্ট যদি বিবদমান কোনো বিষয় সুরাহার জন্য তার হস্ত সম্প্রসারিত করতে না পারে তাহলে একে কোনো অবস্থাতেই আইনের দৃষ্টিতে বৈধ বিচার ব্যবস্থা হিসেবে দাবি করা যাবে না অন্যদিকে বিচারের সময় সেনাবাহিনীর অফিসারেরা বসে থাকেন এজলাসে, তাদের সাথে থাকেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। অথচ জনসাধারণের এজলাসে ঢোকার অধিকার নেই এবং প্রচার মাধ্যমের প্রবেশাধিকারও থাকে নিয়ন্ত্রিত। একে কি কোনো অবস্থাতে একটি স্বচ্ছ ও ন্যায্য বিচারকার্য বলা যাবে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনোরকম জব্দ তালিকা না দিয়েই দলিলপত্র ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হচ্ছে, বেশির ভাগ দলিলপত্র আর ফেরত দেয়া হচ্ছে না। দলিল, বিধিপত্র ও টেলিফোন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আইনজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করতে দেয়া হচ্ছে না। সর্বশেষে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে টর্চার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপরও কি বলা যাবে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া? এজন্যই একে ক্যাঙ্গারু কোর্টে প্রহসনমূলক বিচার ছাড়া আর কোনো নামে অভিহিত করা যায় না।
শনিবার ২ জুন ২০০৭ দিন ৫১দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারকার্যের নাম করে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কেবলমাত্র তাদেরই নির্দেশ পালনের জন্য এসব আদালত গঠন করা হয়েছে। এসব আদালতের একমাত্র কাজ হলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যেভাবেই হোক শাস্তি প্রদান করা। ব্যাস এই পর্যন্তই।
এই সরকারের প্রতি জনগণের যে প্রাথমিক সমর্থন ছিল তা দ্রুত বিলীন হতে চলেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ফলে জনপ্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত। দ্রব্যমূল্যের ক্রমবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে করে তুলেছে হতাশ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নির্বিচার ও উদ্দেশ্যমূলক অভিযান বস্তুত সরকারের দুর্বলতাকেই দিনে দিনে দৃশ্যমান করে তুলছে। এখন একে বিচার করা হচ্ছে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। রাজনীতিবিদদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পর এখন এসব অভিযানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. জলিলসহ কতিপয় ব্যক্তির গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই চিত্রই ফুটে ওঠে।
গত দু’দিন ধরে কোনো রাজনৈতিক সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। হাসিনা ও খালেদাকে প্রায় গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রচার মাধ্যমের সাথে তাদের কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। প্রচার মাধ্যমকে শুধু সরকারের প্রশংসা করতে বলা হচ্ছে এবং সরকারের যে কোনো ধরনের সমালোচনা করার ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। একবার জরুরি আইনের আবরণ উন্মোচিত হওয়ার পর অবস্থা কী দাঁড়াবে তা ভেবে আমি শঙ্কিত।
রবিবার ৩ জুন ২০০৭ দিন ৫২জীবন যাত্রার ওপর কোনোরকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে একের পর এক চলে যাচ্ছে অলস দিনগুলি। জেলখানার জীবন একজনকে সমস্ত জগত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কোনো কাজকর্ম নেই। নেই কোনো প্রতিক্রিয়া, নেই বাধ্যবাধকতা, দায়িত্ব কিংবা অনুভূতি। সবকিছুই আছে অথচ কিছুই না থাকার মিশ্র এক অনুভূতি। বাংলাদেশ এখন কতকগুলো অপরিপক্ক সেনা অফিসারের দখলে, রাষ্ট্র পরিচালনায় যাদের যৎসামান্য অভিজ্ঞতা নেই। এডোয়ার্ড কেনেডি ও হিলারী ক্লিনটনসহ ১৫ জন সিনেটর এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও হাউস অব লর্ডসের ১৫ জন সদস্য যখন জরুরি অবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেয়ার দাবি জানান, সরকার পরিচালনাকারী কর্তাব্যক্তিরা তার প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ ফলাফল কী হতে পারে তা অনুধাবন করতে পারেননি।
সোমবার ৪ জুন ২০০৭ দিন ৫৩রিমান্ডের সময় রাজনীতিবিদেরা তাদের দোষ স্বীকার করে যেসব স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন বলে দাবি করা হয়, সামরিক সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদপত্রগুলোতে তা বড় বড় অক্ষরে ফলাও করে ছাপা হচ্ছে, অথচ এদের অধিকাংশই ভুয়া ও অতিরঞ্জিত। এগুলোর প্রত্যেকটির মূল লক্ষ্যই হলো রাজনৈতিক নেতাদের কেলেংকারীর শিকার করা ও তাদের চরিত্রহনন করা। ওরা ভাবছে যে, এটা করার মাধ্যমেই জনগণকে তারা বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে যে, সরকার বিরাট একটা কাজ করে চলেছে এবং রাজনীতিবিদেরা হলেন অসৎ মানুষের প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
আমার বিরুদ্ধে আনীত চার্জশিটে বলা হয়েছে যে, আমি দেশে চোরাচালানের মাধ্যমে অ্যালকোহল আমদানি করে জরুরি ক্ষমতা আইনের ২৫(ঘ) ধারাবলে অপরাধ করেছি এবং এতে আমার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যুদণ্ড। অভিযোগকারীরা বোধহয় উন্মাদ, তা না হলে এ ধরনের অভিযোগ করতে পারে না ।
শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই এবং আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিমকে এই সেলে নিয়ে আসা হয়েছে। সে আমাকে রিমান্ডে থাকাকালীন তার অভিজ্ঞতার কথা বলছিল। সেই একই কায়দায় চোখ বেঁধে অত্যাচার, বৈদ্যুতিক শক ও শারীরিক নির্যাতন, ভিডিও ফিল্মবদ্ধকরণ, রুক্ষ্ম আচরণ এবং প্রচার মাধ্যমের কাছে ভুয়া তথ্য পাচার ও সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা।
নেতৃস্থানীয় আইনজীবীদের সামরিক গোয়েন্দাদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তারা যেন অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তির পক্ষে ওকালতি না করেন- অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধেও কর ফাঁকি ও দুর্নীতির মামলা দেয়া হবে। এর ফলে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির সর্বশেষ সুযোগটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
শহীদ আমার জন্য কিছু ফল রেখে গেছে জেলগেটে।
মঙ্গলবার ৫ জুন ২০০৭ দিন ৫৪মিন্টু ও লিটুর কথা ভেবে খারাপ লাগছে। ওদের মতো শত শত ব্যবসায়ী রয়েছেন চারদিকে, অথচ এ দুজনকেই কেন টার্গেট করা হলো বুঝতে পারছি না। বহু ব্যবসায়ী আছেন যারা এদের তুলনায় অনেক বেশি অর্থবান। সে তুলনায় মিন্টু ও লিটু অনেক ভালো।
যে কোনো সরকারের মতোই এ সরকারও মনে করেন সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছে এবং জনগণ তাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু চারদিক থেকে যা শোনা যাচ্ছে এবং পত্রিকার খবর অনুযায়ী বোঝা যায় পরিস্থিতি অনেক খারাপ এবং জনগণ মোটেই সন্তুষ্ট নন। জরুরি অবস্থা চালু থাকায় কেউ মুখ খুলতে পারছে না, প্রচার মাধ্যমও সবকিছু প্রকাশ করতে পারছে না। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো সকল শ্রেণীর জনগণ এক চরম আতঙ্ক, হুমকি, প্ররোচনা এবং অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে তাদের দিন কাটাচ্ছে। চরমভাবে অসহ্যকর একটি পরিস্থিতি। কেউই জানে না সরকারের পরবর্তী শিকার কে হতে যাচ্ছেÑ সে নিজে, তার প্রতিবেশী, ভাই কিংবা কোনো আত্মীয়? যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে ইতিমধ্যেই তাদের দুর্নীতি, অন্যায় পৃষ্ঠপোষকতা ও স্বজনপ্রীতি নিয়ে নানা রকম অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। অনেকদূর অবধি ওরা তাদের দুঃশাসনের পরিধি বিস্তৃত করেছে। অতিরিক্ত সংখ্যক গ্রেফতার ও মামলার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। নির্বাচন কমিশনের অবস্থাও একই। ফলে প্রতিদিন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে জনগণের কাছে। সামরিক কিংবা রাজনৈতিক পরিধিতে কী ঘটছে সিভিল কর্তৃপক্ষ সে সম্পর্কে কোনো ধারণাও পাচ্ছে না। সমগ্র জাতি এখন কয়েকজন জেনারেলের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বুধবার ৬ জুন ২০০৭ দিন ৫৫খুব সম্ভবত আমি জেলখানায় থাকাতে ভালোই হয়েছে। বাইরে থাকলে আমাকে বেঁচে থাকতে হতো এক মহা ভয়, আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে। কেউ বর্তমানে নিরাপদ নন, কাজেই আমার বেলায়ও তার ব্যত্যয় ঘটতো না। এর তুলনায় কয়েদখানা অনেক নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। তবে এই একাকীত্ব, বিচ্ছিন্নতা, গতিহীন সময় প্রবাহ, অসহায়ত্ব, দায়িত্বশূন্যতা, কর্তব্য পালনে বাধ্যবাধকতাহীনতা, কোনোরকমের অভিযোগ কিংবা করণীয় পরিস্থিতির অনুপস্থিতি, সবকিছু মিলিয়ে এ এক ব্যতিক্রমধর্মী জগৎ। এ যেন দাসত্বের মধ্যেই এক চূড়ান্ত স্বাধীনতা। সকল দায় থেকে অবমুক্ত- এ এক ব্যতিক্রমধর্মী স্বাধীনতা, ভিন্ন ধরনের অনুভূতি এবং ভাবাবেগ। এ যেন অন্য এক ধরনের মৃত্যু, এক ধরনের জীবন্ত অবস্থা। একই সাথে মরে যাওয়া এবং বেঁচে থাকার অনুভূতি। সৃষ্টির আদিতম দুঃখবোধ এবং বিষন্নতায় ভরা চূড়ান্ত মৃত্যুর চাইতে এটা আরেক ধরনের সত্যিকারের মৃত্যুর পর মানুষের দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি রহিত হয়ে যায় এবং একই সাথে লোপ পায় কল্পনাশক্তি। প্রিয়তম মানুষগুলোকে নিয়ে চিন্তা বা কল্পনার তখন আর কোনো অবকাশ থাকে না। কিন্তু জেলখানায় তাদের নিয়ে চিন্তা বা কল্পনা করা যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে চলছে মনে মনে বাক্যবিনিময়, কল্পনায় অনেক সময় তাদের সঙ্গ পাওয়া যাচ্ছে, এমনকি তাদের স্পর্শ করাও সম্ভব হচ্ছে। দুঃখবোধ মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই লোপ পেয়ে যায়, কিন্তু জেলখানায় এই মৃত্যুবোধের সঙ্গে দুঃখবোধও তার অস্তিত্ব বজায় রেখে চলেছে। এখন আমার ৭০ বছর বয়স- হয়তো আমি এগিয়ে যাচ্ছি আসল মৃত্যুর দিকেই- নতুন এক ধরনের সফরের জন্য, এ বোধহয় আমার এক পূর্বপ্রস্তুতির পালা। এখনো এই মুহূর্তে আমি অন্ততঃপক্ষে আমান, আনা এবং হাসনাকে নিয়ে ভাবতে পারছিÑ অনুভব করতে পারছি যে, ওরা আমার কাছাকাছিই আছে। কিন্তু চরম ও বাস্তব মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে এ ধরনের চিন্তা, অনুভূতি ও কল্পনা মুহূর্তের মধ্যেই লোপ পেয়ে যাবে।
(চলবে..)
আরো পড়ুন-
মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৭)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৯) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১২) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৩) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৪) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৫) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৬) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৭) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৮) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (১৯)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২০) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২১) মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২২)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৩)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৪)মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (২৫)