করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা কি আবার নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে কিনা তার এক বিতর্কিত পরীক্ষা শুরু করেছে বৃটেনের বিজ্ঞানীরা। ফেব্রুয়ারিতে এমন পরীক্ষা প্রথম শুরু হয়েছে মানুষের ওপর। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল’। এতে স্বেচ্ছাসেবকদের ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ে এমন স্থানে রাখা হয়। দেখা হয় করোনা ভাইরাসে যেসব রোগ সৃষ্টি করে তাতে তারা আক্রান্ত হন কিনা। এসব রোগ নিয়ে গবেষণা করতে এমন পরীক্ষা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন ডেইলি সাবাহ। ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া পরীক্ষার সঙ্গে পার্থক্য আছে এমন এক গবেষণা শুরু হয়েছে ১৯ শে এপ্রিল সোমবার।
এতে দেখা হচ্ছে আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এমন ব্যক্তিরা আবার আক্রান্ত হন কিনা তা দেখা। এর মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ এবং নতুন করে সংক্রমণের বিষয় গভীরভাবে অনুধাবন করা। ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের টিকা বিশেষজ্ঞ এবং এই গবেষণার প্রধান পর্যবেক্ষণকারী হেলেন ম্যাকশন বলেন, এই গবেষণা থেকে যে তথ্য পাওয়া যাবে তার ওপর ভিত্তি করে আরো উন্নতমানের টিকা ও টিকিৎসা ব্যবস্থা ডিজাইন করার সুযোগ করে দেবে। এ থেকে আরো পরিষ্কারভাবে জানা যাবে চলমান টিকা আমাদেরকে কতটা সুরক্ষা দেয় এবং কত সময়ের জন্য দেয় সেই সুরক্ষা। এ থেকে আরো জানা যাবে নতুন করে সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিভাবে সাড়া দেয়।
উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়া, ফ্লু, টাইফয়েড এবং কলেরার মতো রোগগুলো নিয়ে দশকের পর দশক ধরে গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। একই সঙ্গে এসব রোগের বিরুদ্ধে চিকিৎসা ও টিকা তৈরি করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম দফায় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রায় অর্ধেক, যারা কমপক্ষে তিন মাস আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদেরকে নতুন করে মূল করোনা ভাইরাসের স্ট্রেইন সার্স-কোভ-২ দ্বারা আক্রান্ত করা হবে। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এমন সুস্থ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৬৪ জন। এরপর তাদেরকে কমপক্ষে ১৭ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তার মধ্যে যদি কারো মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে তাকে রিজেনারন মনোক্লানাল এন্টিবডি ট্রিটমেন্ট দেয়া হবে।