বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অক্টোবরে ৯ দল নিয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন। দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের সঙ্গে এই প্রতিযোগিতায় খেলবে আফগানিস্তান এবং ইরান। নানা সীমাবদ্ধ সত্ত্বেও অলিম্পিকে খেলার জন্য তৈরি করতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন।
টোকিও অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনা ছিল আলী কাদেরের। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে কাতারে একটি টুর্নামেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার শেষ সুযোগটিও শেষ হয়ে যায় তার। তাই টোকিও অলিম্পিকের চিন্তা বাদ দিয়ে সামনে ২০২৪ অলিম্পিককে লক্ষ্য করে এগুতে চায় বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিক ফেডারেশন। এজন্য চার বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। বিদেশি খেলোয়াড় নির্ভরতা কমিয়ে দেশি খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ফেডারেশন। বাংলাদেশ পুলিশে খেলা শিশির আহমেদ, আল আমিনের সঙ্গে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির শফিকুল ইসলাম আছেন অলিম্পিকে খেলার দৌড়ে।
বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘২০২৪ সালের অলিম্পিকে খেলার জন্য আলী কাদের, রাফি এদের সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করছি একটা লেভেলে নিতে। ওদের পারফরম্যান্সের ওপর জাজমেন্ট এনে আমরা অক্টোবরে ৯ দল নিয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছি। আশা করছি সেটার পারফরম্যান্স বেস করে কয়েকজনকে সিলেক্ট করবো। তাদেরকে বাইরে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো। যাতে করে ২০২৪ সালে অলিম্পিকে খেলতে পারে’। উল্লেখ্য ২০১১ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত জিমন্যাস্টিক বিশ্বকাপে খেলে নজরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি সাইক জিসার। ওয়াইল্ড কার্ডের মাধ্যমে পরের বছর লন্ডন অলিম্পিকে খেলেছিলেন এ জিমন্যাস্টস। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। সিজারের পর জিমন্যাস্টিকসে আরেক প্রবাসী হিসেবে আর্বিভাব হয় নিউজিল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি বংশদ্ভূত আলী কাদেরের। তবে সিজারের মতো হতে পারেননি আলী কাদের। সিজারের পর আর কেউই অলিম্পিকে খেলতে পারেননি। ২০১৬ সালের পর টোকিও অলিম্পিকেও জিমন্যাস্টস থেকে কেউ থাকছে না।