× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফুটবল বাঁচিয়ে রাখতেই সুপার লীগ: পেরেজ

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

ইউরোপিয়ান সুপার লীগ (ইএসএল) নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে উয়েফা ও রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। এই স্প্যানিশ সংগঠক ইএসএলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও। ইএসএলে অংশ নেয়া ফুটবলারদের নিষিদ্ধের বিষয়ে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে ফিফা। ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফাও একই পথে হেঁটেছে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের এই টালমাটাল অবস্থাকে বিশ্লেষকরা ব্যাখ্যা করছেন ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফুটবল সংকট’ হিসেবে। উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন ইএসএলকে ‘কয়েকটি ক্লাবের স্বার্থের জন্য এবং অর্থহীন প্রকল্প’ বলে মত দেন। পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে পেরেজ মন্তব্য করেছেন,
‘ইউরোপিয়ান
সুপার লীগ আয়োজন করা হবে ফুটবলকে বাঁচিয়ে রাখতেই’। ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো ইএসএল আয়োজনের চিন্তা শুরু করে ২০০০ সাল থেকে।
২০০৯ সালে আর্সেনালের কোচ থাকাকালীন আর্সেন ওয়েঙ্গার দাবি করেন, খুব শীঘ্রই এমন কিছু দেখা যাবে। জার্মান ম্যাগাজিন ডার স্পিগেল ২০১৮ সালে সুপার লীগের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে তোলপাড় ফেলে দেয়। এরপর সবকিছু স্তিমিত ছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারি পাল্টে দেয় সবকিছু। বড় অঙ্কের ক্ষতি হয় ইউরোপের সব বড় ক্লাবের। সেটা পুষিয়ে নিতে সুপার লীগেই সমাধান দেখছেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ‘এল চিরিঙ্গিতো’র কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সুপার লীগের মতো আগামীতে প্রতিযোগিতা না হলে টিকবে না ফুটবল, ‘এই সুপার লীগ ধনীদের জন্য নয়, বরং ফুটবলকে বাঁচানোর জন্য। যদি এভাবে চলতে থাকে, ফুটবল অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা মারা যাব। বড়, মাঝারি ও ছোট ক্লাব- সবাইকে বাঁচানোর এটাই একমাত্র উপায়। সুপার লীগের পক্ষে আগামী কয়েকদিনে আপনারা আরো অনেক কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন। ভক্তদের বলার অধিকার আছে এবং তারা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লীগ চায়।’ এখন পর্যন্ত ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ১২টি দল সুপার লীগে নাম লিখিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গী হয়নি বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। করোনা মহামারির কারণে এক
বছরেরও বেশি সময় ধরে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজিত হচ্ছে ম্যাচ। বায়ো-বাবল তৈরিতেও গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্ক। ইউরোপের সিংহভাগ ক্লাবই বড় ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা। নাজুক পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নতুন এই লীগের আয়োজন বল দাবি করে পেরেজ বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ৫০০ কোটি ইউরো হারিয়েছি। গত দুই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের একারই ক্ষতি হয়েছে ৪০ কোটি ইউরো। দর্শক কমে যাচ্ছে এবং টেলিভিশন স্বত্ব হিসেবে পাওয়া অর্থের পরিমাণও কমছে। তাই কিছু একটা করতে হতো। আমরা সবাই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি। আমরা যাতে মানিয়ে নিতে পারি, সেজন্য টেলিভিশন সমপ্রচারেও পরিবর্তন দরকার।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর