বরিশালে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তরুণী। গত সোমবার রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে গত মাসে এ নেতার বিরুদ্ধে নগরীর নতুন একটি শো-রুমে হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডস্থ তার বাসায় ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে জসিম তাকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়াতে থাকে। একপর্যায়ে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করায়। এরপর জসিম ঢাকায় হোটেলে, ওই তরুণীর বাসা এবং নগরীর চাংপাই রেস্টুরেন্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সর্বশেষ চলতি বছরের ৫ই মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় ওই তরুণীর বাসায় গিয়ে দু’দিনের মধ্যে বিয়ের কথা বলে ফের ধর্ষণ করে।
দু’দিন পর পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে জসিম ওই তরুণীকে জানায় তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তিনি আগে বিয়ে করেছেন। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী সম্প্রতি নগরীর সাগরদিতে জসিম উদ্দিনের বাসায় গিয়ে বিয়ের দাবিতে হট্টগোল করেন। এরপরেই জসিম অন্য মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিষয়টি জানার জন্য বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর সত্যতা যাচাইয়ের পর অভিযোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জানা যায়, জসিম উদ্দিন সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরণের অনুসারী। তিনি বর্তমান মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীদের ঘোর বিরোধী বলে নগরীতে চাউর রয়েছে। ফলে বেশ কয়েকবার হামলার শিকারও হয়েছিলেন। সম্প্রতি নগরীতে সদ্য চালু হওয়া টপ-টেন নামক শো-রুমে প্রকাশ্যে লুট হয়। সে সময় লুটকারী দুর্বৃত্তরা জসিমের লোক বলে দাবি করেন। কিন্তু পুলিশের তদন্তে তা ধোপে টিকেনি।