প্রয়াত হেফাজত আমীর আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বিচারের নামে নিরপরাধ কাউকে যেন অযথা হয়রানির শিকার হতে না হয় এ বিষয়ে সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি পবিত্র রমজানে সারা দেশে আলেম ওলামাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদও জানান তিনি।গত সোমবার রাতে আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সালমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব দাবি করেন আনাস মাদানী। আল্লামা শফীর এই আলোচিত ছেলে সংগঠনটির সভাপতি। মাওলানা মাদানী বলেন, লকডাউনের মধ্যেও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাপদ্ধতির প্রতি সুবিচার করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় হলেও মাদ্রাসাগুলোকে অতি দ্রুত খুলে দেয়া হোক। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায় সে বিষয়ে উলামায়ে কেরামের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিবৃতিতে মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আব্বাজান শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) ছিলেন এদেশের কওমি মাদ্রাসা জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত স্বরূপ। তিনি সব সময় ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণের কথা ভেবেছেন। সকল দল ও মতের মানুষের সঙ্গে সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন।
ইসলামী শিক্ষা তাহজিব ও তমদ্দুনকে সবর্স্তরের জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এদেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর যে বৃহৎ অবদান রয়েছে তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সঠিকভাবে উপস্থাপন করায় তার অবদান অনস্বীকার্য। উল্লেখ্য, বিভিন্ন কারণে মাওলানা আনাস মাদানী হেফাজত আমীর আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরীর কঠোর সমালোচক বলে পরিচিত। আল্লামা শফীর জীবদ্দশায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নিজের আরো কয়েকজন অনুসারী নিয়ে গত বছর আন্দোলনের চাপে তাকে হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাড়তে হয়। এরপর অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান এক সময়ের আলোচিত এই হেফাজত নেতা।