× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফেনীতে রিকশা থেকে নামিয়ে যুবককে পেটানোর ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যকে শোকজ

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

ফেনীতে লকডাউনে সড়কের মধ্যে রিকশা থেকে নামিয়ে যুবককে পিটিয়ে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় এস আইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে শোকজ করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। গত সোমবার রাতে ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) যশমন্ত মজুমদারসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে শোকজ করা হয়। জানা যায়, গত রোববার বিকালে ফেনী শহরের মডেল হাইস্কুলের সামনে পুলিশের দায়িত্বরত সদস্যদের সঙ্গে এক ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ যুবকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে দায়িত্বরত পুলিশের এক সদস্য এক রিকশা আরোহী যুবকে জামার কলার ধরে পাকড়াও করেন। যুবকটিও তাকে পাল্টা আঘাত করেন। পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩২)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা। শহিদুল ইসলাম যুবলীগের সক্রিয়কর্মী বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বলেন, ‘লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ কর্তব্য পালনকালে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের ওপর ক্ষেপে যায় এবং মারতে আসে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে। তার গায়ে হাত তোলা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়।’ পুলিশ সুপার আরো বলেন, ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) যশমন্ত মজুমদারসহ ঘটনার সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ঘটনার কারণ দর্শাতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শোনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাইরাল হওয়া তিন মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, লকডাউন চলা অবস্থায় রিকশায় বসে থাকা এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। চলমান লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচল করতে বাধা দিচ্ছিলেন তারা। এ সময় ওই যাত্রীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় এবং তাকে রিকশা থেকে নামতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে রিকশায় থাকা ওই যুবক উচ্চস্বরে দায়িত্বরত পুলিশদের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘এই দেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, না!’ এ সময় এক পুলিশ সদস্য তাকে জোর করে রিকশা থেকে নামাতে চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। রিকশা থেকে নামিয়ে ফেলা ওই যুবক বলতে থাকেন, ‘তুই অন্য রিকশা ছাড়ছিস, আমারটা ধরলি ক্যান?’ একাধারে তিনি পুলিশদের গালাগালি করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ ওই যুবককে টেনেহিঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে চড়-থাপ্পড়, লাথি মারতে থাকে। হাতাহাতির একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একাধিক পুলিশ সদস্য তাকে জাপটে ধরে এবং হাতকড়া পরানোর চেষ্টা করেন। এক পুলিশ সদস্য চিৎকার করে বলতে থাকেন, হ্যান্ডকাফ লাগা, ধর। ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করলে ওই যুবক শহিদুল ইসলাম সবার উদ্দেশে বলেন, ‘মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন। এ সময় ওই হ্যান্ডকাফ পরতে অস্বীকৃতি জানান এবং গালাগালিসহ এলোপাতাড়ি হাত-পা ছুড়তে থাকেন এবং উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে ভিডিও করতে বলেন।’ ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, আটক যুবক শহিদুলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। থানায় আনার পর জানা গেছে ওই যুবক কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চায়। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলেন। তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা তার মানসিক সমস্যার কথা জানায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর