× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কঠোর লকডাউনে সক্রিয় সিলেটের মাদক সিন্ডিকেট

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

লকডাউনে চলাচলে কড়াকড়ি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। কিন্তু লকডাউনে সক্রিয় সিলেটের ইয়াবা সিন্ডিকেট। লকডাউনে মহিলা ব্যবহারের মাধ্যমে তারা ইয়াবার চালান আনা-নেয়া করছে। তবে চোখ এড়াচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। লকডাউনে বাইরের সিন্ডিকেট যেমন ধরা পড়ছে তেমনি ঘরের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা মাদক সিন্ডিকেটও আসছে আইনের আওতায়। ইয়াবা বিক্রেতা সীমা বেগম। মাদক জগতে তাকে চিনেন অনেকেই।
ইয়াবার চালান বহন এবং বিক্রি করা হচ্ছে তার কাজ। ইয়াবা বিক্রেতা সীমা বেগমকে লকডাউনের সময়ই শহরতলীর খাদিমপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তার কাছে ৯৮০ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। র‌্যাব-৯ এর এএসপি (গণমাধ্যম) ওবাইন জানিয়েছেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী সীমাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৯৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। সীমা কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের রঙ্গু মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে গোলাপগঞ্জ থানাধীন চকরিয়া এলাকার আব্দুর নূর মিয়ার কলোনিতে বসবাস করছে। ইয়াবা বহন ও বিক্রি করাই হচ্ছে তার পেশা। শাহপরাণ থানা পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত সীমাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এদিকে লকডাউনে মাদকসেবীদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বেড়েছে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের। লকডাউনের দোহাই দিয়ে মাদক বিক্রেতারাও দাম বৃদ্ধি করেছে ইয়াবা ও ফেনসিডিলের। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেও মাদক পাচ্ছে সিলেটের মাদকসেবীরা। সিলেটে গত দু’দিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দর থানাধীন বনকলাপাড়া ও বড়বাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ ইয়াবাসেবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইয়াবাসেবক নাবিল রাজা চৌধুরী রয়েছে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া নাবিল ও তার সহযোগীরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবা ব্যবসায়ী কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। তবে যারা তাদের কাছে ইয়াবা দিতে যায় তারা মূলত খুচরা ব্যবসায়ী। হাত বদল করে কিছুটা মুনাফা পায় তারা। আর অনেকেই খুশি হয়ে কিছু বকশিশ দিলে তাদের বাড়তি লাভ হয়। চলমান লকডাউনের কারণে মাদকসেবীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে বাসাবাড়ি। কেউ যাতে কোনো সন্দেহ না করে সেজন্য তারা এই পন্থা অবলম্বন করছে। নগরীর আম্বরখানা বড়বাজারের একটি বাসায় ইয়াবা সেবন চলছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বড়বাজারের ৯৪ নম্বর বাসায় অভিযান চালায় বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এ সময় বাসা থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ শেখ মোনায়েম আহমেদ মুনেম নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মোনায়েম ওই বাসার মৃত শেখ আমির আলীর ছেলে। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দর থানা পুলিশ তাকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এর আগে সোমবার রাতে এ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের জানিয়েছেন, সিলেট মহানগরী এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সবসময় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি করা হচ্ছে। এ জন্য সিলেটে প্রতিদিন থানা, ফাঁড়ি পুলিশের পাশাপাশি কয়েকটি স্পেশ্যাল টিমও কাজ করছে। এদিকে সিলেটের চিহ্নিত মাদক আস্তানাগুলোতে র‌্যাবের নজরদারি চলছে। র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিলেটে বিশেষ করে ইয়াবার পাইকারি বিক্রেতারা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। নগরীর কাস্টঘর থেকে গত দুই মাসে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের নজরদারি ও গ্রেপ্তার অভিযান সমানভাবে চলমান আছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর