× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১১ মে ২০২৪, শনিবার , ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

ইফতারের ফজিলত

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এম এ করিম ইবনে মছব্বির
২১ এপ্রিল ২০২১, বুধবার

আজ নবম রমজান। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, কামাচার, প্রভৃতি চাহিদা পরিহার করে, সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই সকল রোজাদার ইফতার করেন। রাছুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন যে, আমার উম্মতগণ ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণের উপর থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেহ্‌রি বিলম্বে এবং ইফতার অবিলম্বে করতে থাকবে (মিশকাতুল মাছাবীহ)। রাছুলে পাক (সা.) আরো এরশাদ করেন যে, রমজান মাস এমন একটি পুণ্যময় মাস যে মাসে আল্লাহ পাক মুমিনের রিজিক সমূহ বৃদ্ধি করে দেন। এই মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে তার পূর্বকৃত গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে এবং রোজাদার রোজা রেখে যেমন সওয়াব পায় ঐ ব্যক্তিও সে পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। আর রোজাদারকে যদি কোনো মুমিন পরিতৃপ্ত করে খাওয়ায় তবে তাকে মহান আল্লাহ পাক হাউজে কাওছার থেকে এমন পানি পান করাবেন যাতে সে জান্নাতে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত পিপাসার্ত হবে না। নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন যে, রোজাদার ব্যক্তির জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে।
এক, যখন রোজাদার ইফতার করে তখন তাঁর আনন্দ লাগে। দুই, কিয়ামতের দিনে মহান আল্লাহর দিদার লাভ করবে (মাজমাউল ফাওয়াইদ প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৫)। ইফতারের সময় হালাল জিনিস দ্বারা ইফতার করবে, এবং হারাম এমন কি সন্দেহ যুক্ত জিনিস দ্বারা ইফতার করবে না। নতুবা ফলাফল এই হবে যে, রোজাটা নষ্ট হয়ে যাবে। কেউ যদি হারাম জিনিস দ্বারা ইফতার করে তাহলে তার উপমা এই যে, পুরোদিন কষ্ট করে একটা প্রাসাদ নির্মাণ করলো এবং সন্ধ্যা বেলা তা ধ্বংস করে দিলো (মাজমাউল ফাওয়াইদ খণ্ড ৩ পৃষ্ঠা ১৫৬)। নবী করিম (সা.) এরশাদ করেন যে, যেমনভাবে বিষ শরীরের জন্য ধ্বংসের কারণ, তেমনিভাবে হারাম রিজিক ও দ্বীনের জন্য ধ্বংসের কারণ (মিশকাত শরীফ প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৪২) রমজান শরীফে আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের পাঁচটি জিনিস দান করেছেন যাহা পূর্ববর্তী কোনো উম্মতদের দান করা হয়নি। এক, রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ মিশকে আম্বর থেকেও আরো অধিক পছন্দনীয়। দুই, ইফতারের সময় সমুদ্রের মাছসমূহও রোজাদারের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। তিন, রোজাদারের জন্য প্রত্যেক দিন জান্নাতকে সুসজ্জিত করা হয়। চার, রমজানে অবাধ্য শয়তান দিগকে বন্দি রাখা হয়। পাঁচ, রমজানের শেষ রাতে রোজাদারকে ক্ষমা করে দেয়া হয় (আত তারগীব ওয়াত তারহীব, খণ্ড ২ পৃষ্ঠা ২১৪)।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর