× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কমপক্ষে ২৫ দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন বেড়েছে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ২২, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

বিশ্বে কমপক্ষে ২৫টি দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি অত্যাচার ও নিপীড়নও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো চীন এবং মিয়ানমারের। ভ্যাটিক্যান সমর্থিত দাতব্য সংস্থা এইড টু দ্য চার্চ ইন নিড ইন্টারন্যাশনালের (এসিএন) প্রস্তুত করা ৮০০ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’। এতে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে তুলে ধরে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে নাইজার, তুরস্ক এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে এখনও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে রয়েছে কুসংস্কার। স্থানীয় অধিবাসীরা করোনা মহামারির জন্য তাদেরকে দায়ী করে।
এমনকি তাদেরকে চিকিৎসা সুবিধা নিতে দেয়া হয় না। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে আরো বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কাজ করে ক্যাথলিক দাতব্য সংস্থা এসিএন। সব ধর্মের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিষয়ে গবেষণা করে তারা। তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে ২৬টি দেশকে লাল তালিকায় ফেলা হয়েছে। এর অর্থ হলো ওইসব দেশে এখনও নিপীড়ন অব্যাহত আছে। দু’বছর আগে এই তালিকায় ছিল ২১টি দেশ। এ ছাড়া এই তালিকায় ‘অরেঞ্জ’ ক্যাটাগরিতে নেয়া হয়েছে ৩৬টি দেশকে। দু’বছর আগে এমন দেশের সংখ্যা ছিল ১৭। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যখন সবার ওপর প্রয়োগ না করে বিশেষ একটি গ্রুপের ওপর আইন বা শাসন প্রয়োগ করা হয় তার মধ্য দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন ও নিষ্পেষণের ভয়াবহতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তা বেশি ঘটছে চীন এবং মিয়ানমারে। চীন সবচেয়ে বেশি ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন করছে সিনজিয়াংয়ে মুসলিম উইঘুরদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে। সেখানে কর্তৃপক্ষ এতটাই নৃশংসতা চালাচ্ছে- যাকে অনেক বিশেষজ্ঞ গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তার শেষ সময়ে বলে যায় যে, সিনজিয়াংয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। এর জন্য মূল দিতে চীনের ওপর ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনেক গৃহীত পদক্ষেপকে বাতিল করে দিলেও বা তার বিপরীতমুখী অবস্থান নিলেও, ট্রাম্প চীন ইস্যুতে যে নীতি গ্রহণ করেছিলেন- তাকে ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন দিয়েছেন জো বাইডেন। তবে চীন দাবি করে তারা সিনজিয়াংয়ে যেসব ক্যাম্প স্থাপন করেছে তা হলো কট্টর ইসলামপন্থি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশিক্ষিণ শিবির। অন্যদিকে জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিত্তিহীন এক গুজব এবং ডাহা মিথ্যা কথা বলে অভিহিত করেছে।

গত বছর রয়টার্স এক রিপোর্টে জানায় যে, হংকংয়ে ভ্যাটিক্যান মিশনে দায়িত্ব পালন করতেন দু’জন নান। চীনের মূল ভূখন্ডে নিজেদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীন বিভিন্ন ধর্মের উপাসকদের বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিয়াল রিকগনিশন’ বা চিনে রাখার নীতি ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি করছে। এই রিপোর্টে আরো বলা হয়, স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে। গত বছর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস নির্দেশ দেয় মিয়ানমারকে। তাদেরকে বলে, গণহত্যা থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে সরকার গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এসিএন তার রিপোর্টে মিয়ানমারে ১লা ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের বিষয়ে বলেছে, এটা সব ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটা খারাপ অবস্থা। এতে বলা হয়েছে, ইসলামপন্থি উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে আফ্রিকা। মৌরিতানিয়া, মালি, বুরকিনা ফসো, নাইজার, নাইজেরিয়া, ক্যামেরন, চাদ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, সোমালিয়া এবং মোজাম্বিকের মতো দেশে নৈরাজ্য চালাচ্ছিল জঙ্গিবাদী গ্রুপগুলো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর