× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দোকানিকে রাষ্ট্রদূতপত্নীর প্রহার, অতঃপর...

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) এপ্রিল ২২, ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৪১ অপরাহ্ন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত পিটার লেসকুহিয়েরের স্ত্রী সিয়াং সুইকিউ (৬৩) সেখানে এক দোকানিকে থাপর মেরেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবি, ভিডিও ভাইরাস হয়ে গেছে। ফলে ওই রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রীকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ছেড়ে যাওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে। এমন আহ্বান সম্বলিত মন্তব্যে ওয়েবসাইটগুলো সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ফলে এ পরিস্থিতি তদন্ত করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।  সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এশিয়া ওয়ান। এতে বলা হয়, গত ৯ই এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে একটি পোশাকের দোকানে। ওই দোকানী যে ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যায়, তিনি ওই দোকানের একজন নারী কর্মচারীকে বাহু ধরে টেনে তুলছেন এবং তার মাথার পিছন দিকে আঘাত করছেন। এ সময় দোকান মালিক (৩৩) তাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু নিবৃত হননি রাষ্ট্রদূতপত্নী। তিনি দোকান মালিকের মুখেও থাপর মারতে থাকেন। এতে তার মুখ ফুলে যায়। চোখের ভিতর রক্ত জমে যায়। দোকান মালিক বলেছেন, এ ঘটনার পর তার কাছে দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চাননি সিয়াং। তাই তিনি এই ফুটেজ প্রকাশ করেছেন, যাতে অন্য দোকানীরা তার এমন আচরণ থেকে সুরক্ষিত থাকেন।
কথিত হাতাহাতির আগে সিয়াং ওই দোকানে গিয়ে পোশাক যাচাই বাছাই করেন। কিন্তু কিছু না কিনেই তিনি বেরিয়ে যান। এ সময় দোকানের একজন কর্মচারী ভুল করে ভেবে বসেন যে, তিনি যে জ্যাকেট পরে আছেন, ঠিক একই রকম জ্যাকেট তাদের দোকানে আছে এবং সিয়াং সেই জ্যাকেট কিনেছেন। কিন্তু বিল না দিয়েই তিনি চলে যাচ্ছেন। কিন্তু পরক্ষণেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে ওই দোকানকর্মী রাষ্ট্রদূতপত্নীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু সিয়াং ওই দোকানে ফিরে যান এবং ক্ষোভ ঝারেন। এর ফল হিসেবে উদ্ভূত ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ করলে রাষ্ট্রদূত পত্নী সিয়াং কূটনৈতিক দায়মুক্তি পাবেন বলে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, স্বাগতিক দেশে কূটনৈতিক ও তার পরিবারের সদস্যরা সেই দেশের আইনের অধীনে দায়মুক্তি সুবিধা ভোগ করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর