ইউরোপিয়ান সুপার লীগ (ইএসএল) আয়োজনের ঘোষণার পর ফুটবলবিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সমর্থকদের সঙ্গে খেলোয়াড়, কোচরাও সুপার লীগের বিরোধিতা করতে শুরু করে । সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ইএসএল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ডের ছয় ক্লাব। একের পর এক ক্লাব বেরিয়ে যাওয়ায় সুপার লীগ শেষ হয়ে গেছে। এমনটা মানতে নারাজ ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। লীগটির প্রথম চেয়ারম্যান ও রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট জানালেন, সুপার লীগ নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে সেটার সমাধানের পথ খুঁজছে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদসহ চার ক্লাব। সঙ্গে পেরেজের হুঙ্কার, ফিফা-উয়েফাকে ভয় পান না তিনি।
স্পেনের রেডিও অনুষ্ঠান ‘এল লারগোরো’- তে পেরেজ বলেন, ‘ কেউ যদি মনে করে সুপার লীগ শেষ, তাহলে তা পুরোপুরি ভুল। এখন এটি অপেক্ষমান অবস্থায় আছে।
হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে, বার্সেলোনা এখনও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। রিয়াল, বার্সা, জুভেন্টাস ও এসি মিলান এখনও বিষয়টির সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত। তারা সরে যায়নি। আমি ফিফা বা উয়েফাকে ভয় পাই না।’
পেরেজ বলেন, ‘আমি দুঃখিত ও হতাশ। প্রিমিয়ার লীগের ৬ ক্লাবের একটি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিল না লীগটির ব্যাপারে। এটিই বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।’
পেরেজের দাবি, চ্যাম্পিয়নস লীগের বদলে সুপার লীগ চালু করতে চেয়েছেন তারা। ম্যানচেস্টারের মালিকপক্ষ একটি প্রচারণা শুরু করে যে, সুপার লীগ হলে ঘরোয়া রগিগুলো শেষ হয়ে যাবে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি সিটি, সেটি স্পষ্ট করেননি পেরেজ।
পেরেজ বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো চলে যাওয়ার আরেক কারণ, ফিফা ও উয়েফা নানা কাণ্ড করে চলেছিল। ফিফা-উয়েফা আমাদেরকেক কিছু বোঝানোর সুযোগই দেয়নি। এমন ভাব করা হচ্ছে যেনো আমরা অ্যাটম বোম ফেলেছি।’
বেরিয়ে যাওয়া ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে কী না সে ব্যাপারে কথা বললেন পেরেজ। তিনি বলেন, ‘১২ ক্লাবের সবাই একটি বাধ্যবাধকতার চুক্তিতে সই করেছে। প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো এভাবে চলে যেতে পারে না। আমরা আইনী ব্যবস্থা নেবো না। তবে সবাই কথা বলে সমাধান বের করব।’