সিঙ্গাপুরের ওয়েস্টলাইট উডল্যান্ডস ডরমেটরিতে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার পরও ৩৫ বছর বয়সী এক অভিবাসী শ্রমিকের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তার রুমমেট বা একই রুমে তার সঙ্গে অন্য যারা থাকেন তাদেরও করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। তবে আক্রান্ত এ শ্রমিকরা কোন দেশের তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের ডরমেটরিগুলোতে অবস্থান করেন বাংলাদেশিসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শ্রমিক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্ট্রেইটস টাইমস। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই ডরমেটরির অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর আবার কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তার সন্ধানে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। এ তথ্য দিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী জোসেফাইন তেও। স্থানীয় মিডিয়া বলেছে, ওই ডরমেটরির কয়েক হাজার অধিবাসীকে সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে।
সেখানকার ৩৫ বছর বয়সী একজন শ্রমিক টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। এরপরও যখন তার দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে, তখন সেখানকার সব অধিবাসীকে পরীক্ষা করেছে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন কমপক্ষে ১০ জন অভিবাসী শ্রমিকের দেহে নতুন করে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এসব আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবিলম্বে আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এবং নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার বিষয়ে অনুসন্ধান চালানোর জন্য এ তথ্য জানানো হয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস’কে (এনসিআইডি)। ডরমেটরির এই ব্লকে বসবাস করেন কমপক্ষে ১১০০ অভিবাসী শ্রমিক। তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য সরকারের কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যাওয়া হবে।