প্রথম দফা লকডাউন ঘোষণার পর এশিয়ান ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে উজবেকিস্তান যেতে পারেননি মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। দেশে দ্বিতীয় দফা লকডাউন ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের পর মাবিয়ার মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়া অনিশ্চিত হয়ে যায় জিয়ারুল ইসলাম ও মনিরা কাজীর। ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞা, এদিকে জিয়ারুল-মনিরার ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল গতকাল। শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বিশেষ ব্যবস্থায় উজবেকিস্তান গেলেন এই দুই ভারোত্তোলক। গতকাল সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাসখন্দের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন জিয়ারুল-মনিরা। দুবাই হয়ে আজ সকালে তাসখন্দে পৌঁছানোর কথা তাদের। তাসখন্দে পৌঁছে আজই ম্যাটে নামতে হবে মনিরা কাজীকে। তবে জিয়ারুলের ইভেন্ট আগামীকাল।
গোপালগঞ্জের মেয়ে মনিরা কাজীকে ধরা হচ্ছে আগামীর মাবিয়া হিসেবে। এটি তার প্রথম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। সর্বশেষ এসএ গেমসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকলেও চূড়ান্ত দলে জায়গা হয়নি মনিরা কাজীর। এর আগে তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কাতারে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল কাপে ভারোত্তোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
এই আসরে অংশ নেয়ার কথা ছিল দেশসেরা ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তরও। জিয়ারুল-মনিরার ব্যবস্থা হলেও তাকে হতাশা নিয়ে দেশেই থাকতে হচ্ছে। তার ইভেন্ট শেষ হয়ে গেছে গত ২১শে এপ্রিল। এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক অংশ নিতে না পারলেও বাংলাদেশের দুই কোচ ফারুক সরকার ও শাহরিয়া সুলতানা সূচি আগেই চলে গেছেন টুর্নামেন্টের শহরে।