× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এমএ করিম ইবনে মছব্বির
২৪ এপ্রিল ২০২১, শনিবার

আজ ১২তম রমজান। রাসূলে পাক সা: এরশাদ করেন- আদ্‌-দুনিয়া মাজরাআ’তুল আখিরাহ্‌। অর্থাৎ দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্য ক্ষেত্র। দুনিয়া হলো কবরের জীবন অর্থাৎ আল্‌মে বারজাখ এবং পরকালের জন্য আরাম আয়েশ, শান্তির সামানা সংগ্রহ করার স্থান। দুনিয়াতে আমাদের চোখে দৈনন্দিন যা ভাসছে সবকিছুই অহেতুক। পার্থিব জীবনের সকল জরুরত পরিপূর্ণ হওয়া মাত্রই পরকালের সামানা সংগ্রহ করাই হলো দুনিয়া জগতের জীবন যাত্রার আসল কাজ। জগৎ ও বিভিন্ন প্রকার যেমন দুনিয়ার জগৎ, রুহের জগৎ অর্থাৎ আল্‌মে আরওয়াহ্‌্‌, কবরের জগৎ অর্থাৎ আল্‌মে বারজাখ, ইয়াওমুল আখিরাহ অর্থাৎ কিয়ামত দিবস। কানতারা অর্থাৎ পুলসিরাতের পুল।
দুনিয়াতে যেমন ছোট-বড় অপরাধের পরিমাণ মোতাবেক কারাবরণ করে ঠিক তদ্রূপ যারা আল্লাহ্‌র উপর ঈমান এনেছে এবং পাপের কারণে কিছু কিছু মানুষ জাহান্নামে গিয়েছিল, অতঃপর জাহান্নামে তাদের কৃত শাস্তি ভোগের পর জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের পর জান্নাতে যাওয়ার সময় কানতারা পুলসিরাতের পুলের ওপর অপেক্ষমাণ থাকে। অতঃপর সরকারে দো জাহা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা: এর সুপারিশক্রমে তারাও জান্নাত লাভে সক্ষম হয়। মহান আল্লাহ্‌ পাক রাব্বুল আলামীন, অতিশয় দয়ালু। তাঁর নিজ দয়া গুণে তিনি তাঁর বান্দাহ্‌দের ক্ষমা করে দেন। নবী এবং রাসূলগণের ঈমান ছিল খুবই দৃঢ় ও মজবুত। কেননা মহান আল্লাহ্‌র প্রেরিত সকল নবী এবং রাসূলগণের পিঠে ছিল মোহরে নবুওতের শীল। মহান আল্লাহ্‌র সকল নবী এবং রাসূলগণ হলেন- নিষ্পাপ এবং মাসুম অর্থাৎ ইসমতে আম্বিয়া। মহান আল্লাহ্‌ পাক সকল নবী এবং রাসূলের পিঠে মোহরে নবুওতের শীল মেরে দিয়ে ছিলেন। এমনকি রাসূলে পাক সা: এর সাহাবীগণ ছিলেন আদালতে সাহাবা অর্থাৎ সত্যের মাপকাঠি। এবং আমরা বর্তমান যুগের সাধারণ উম্মতদের ঈমান হলো খুবই দুর্বল। বর্তমান যুগের সাধারণ উম্মতদের ঈমান হলো কচুপাতার উপরে রাখা পানির মতো। আমরা আল্লাহ্‌র বান্দাহ্‌গণ একমাত্র মহান আল্লাহ্‌র অশেষ দয়া ব্যতীত ক্ষমা পাওয়াটা কঠিন। মাহে রমজানের মাগফিরাত দিবসগুলোতে আমরা বেশি বেশি করে আস্তাগফিরুল্লাহ্‌ জিকিরে সিক্ত থাকবো, ইনশাআল্লাহ্‌। রমজান মাসের ছোট ছোট আমলসমূহে অধিক পরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর