× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে ভারত’

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২৬ এপ্রিল ২০২১, সোমবার

ভারতে ভয়াবহভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বা বিস্তারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারত সরকার ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মীদের জন্য বাড়তি সাপোর্ট দেয়ার জন্য খুব বেশি সচেষ্ট তারা। গত শনিবার হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র এ কথা বলেছেন। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন আশীষ ঝা সতর্কতায় বলেছেন, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারত মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির কাঁচামাল রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ তুলে নিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ওয়াশিংটনের হাতে থাকা অ্যাস্ট্রাজেনেকার অব্যবহৃত ৩ কোটি টিকা ভারত ও সংকটে থাকা দেশগুলোকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আশীষ ঝা। ইমেইলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে হোয়াইট হাউসের ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারত যখন করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, তখন সরকার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়তি সাপোর্ট দেয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ে সক্রিয় আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে আমরা দ্রুতই আরো তথ্য জানাতে পারবো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য দিয়ে আরো বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে ভারত এবং চীনকে কাউন্টার দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কৌশলগত মিত্র ভারতকে অধিক সহায়তা দেয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপে রয়েছে ওয়াশিংটন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং সিঙ্গাপুরসহ অন্য দেশ থেকে রাজধানী দিল্লিতে জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য অক্সিজেন আনতে সামরিক বিমান এবং ট্রেন মোতায়েন করেছে ভারত সরকার। রোববারও ভারতে নতুন করে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ সময়ে করোনায় মারা গেছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৩১১ জন। ব্রাউন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন আশীষ ঝা সতর্কতা দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে গত শনিবার একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন ভারতে। কিন্তু বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বলেন, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ।
ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় লিপ্ত উভয় দেশ। তিনি আরো বলেন, মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ চেইনে যে বোতলনেক বা বাধা আছে তা অতিক্রম করা এবং টিকাদান প্রক্রিয়ার উপায় শনাক্ত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।
আশীষ ঝা তার মন্তব্য কলামে ভারতে অক্সিজেন, অতিরিক্ত টেস্টিং কিট, উচ্চ মানসম্পন্ন পিপিই, মাস্ক, রেমডেসিভিরসহ করোনা চিকিৎসার ওষুধ সরবরাহ দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের হাতে থাকা অতিরিক্ত টিকা ভারত ও অন্য যেসব দেশ সংকটে আছে- তাদেরকে দিয়ে দিতে। তিনি উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এখনও অ্যাস্ট্রাজেনেকার অব্যবহৃত ৩ কোটি ডোজ টিকা আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা অনুমোদন দেয়নি। একই সঙ্গে কাঁচামাল রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়া উচিত ওয়াশিংটনের।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পসাকি বলেছেন, উদ্ভূত সংকট সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এবং ভারতীয় কর্মকর্তারা উপায় বের করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে কবে নাগাদ এই সহায়তা পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সহায়তা, জরুরি রিলিফ সামগ্রী, ভারতের জন্য মহামারি প্রশিক্ষণ এবং ভেন্টিলেটরসহ ১৪০ কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর