× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৈধ উপায়ে রুজির চেষ্টাও ইবাদত

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এমএ করিম ইবনে মছব্বির
২৭ এপ্রিল ২০২১, মঙ্গলবার

আজ পনেরোতম রমজান। পবিত্র কোরআনুল করিমে মহান আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন যে, নামাজ শেষ হওয়ার পর তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহ্‌র ফজল (রিজিক) অন্বেষণ করো। (সূরা জুমা- আয়াত-৯)। নবী করীম সা: বলেছেন যে, হালাল রিজিক অন্বেষণ করা ফরজ ইবাদতের সমান গুরুত্বপূর্ণ (কানজুল উম্মাল খণ্ড-২)। হযরত উমর রা: বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন জীবিকার অন্বেষণ ছেড়ে অলস বসে না থাকে (কানজুল উম্মাল খণ্ড-২)।
আল্লাহ্‌ পাকের ইবাদত করার পাশাপাশি নিজের জীবিকা উপার্জনের জন্য ও বৈধ সব রকমের চেষ্টা করতে হবে। অব্যাহতভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শুধু এই নয় বৈধ উপায়ে রুজির চেষ্টাও ইবাদত। এজন্য আল্লাহ্‌ পাকের পক্ষ থেকে প্রচুর সওয়াব মিলবে।
হালাল জীবিকা উপার্জনের যত পদ্ধতি আছে ব্যবসা- বাণিজ্য এসবের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ব্যবসাই সবচেয়ে বড় উপার্জনের মাধ্যম। সভ্যতা সংস্কৃতির উপকরণগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম উপকরণ (আলা মাজাহিবুল আরাবায়া খণ্ড-২. পৃ: ২০২)। ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব এবং ব্যাপক উৎসাহ দিয়েছে। কোরআন শরীফে বলা হয়েছে- তোমরা একে-অপরের ধনসম্পদ অবৈধ উপায়ে আত্মসাৎ কোরো না। পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসা- বাণিজ্যের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করো (সূরা: নিসা আয়াত-২৯)। নবী করীম সা: বলেছেন- সৎ ও আমানতকারী ব্যবসায়ীগণ হাশরের দিনে নবী ও শহীদদের সঙ্গে অবস্থান করার সৌভাগ্য অর্জন করবেন (তিরমীজি শরীফ)। তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি ব্যবসা করে তার বাড়িতে প্রাচুর্য ও কল্যাণ সৃষ্টি হয়। ইসলাম কোনো ক্ষেত্রেই বলগাহীন স্বাধীনতা দেয়নি। সবক্ষেত্রেই রয়েছে নির্দিষ্ট নীতিমালা। আয় উপার্জন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। এক্ষেত্রে মৌলিকভাবে ইসলামের দু’টি মূলনীতি রয়েছে। এক. ব্যবসা বাণিজ্য উপাদান ও মৌলিক দিক থেকে বৈধ হতে হবে। যেমন: মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত হওয়া ইসলামে অনুমোদন নেই। কারণ এসব বিষয় ইসলামে হারাম করা হয়েছে। দুই. ব্যবসা-বাণিজ্য সকল অবস্থায় বৈধ পন্থায় হতে হবে অর্থাৎ সেখানে কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি ভেজাল ও ফাঁক-ফোকর থাকতে পারবে না।
প্রিয় নবী সা: বলেছেন- উত্তম উপার্জন হলো কল্যাণকর বেচা-কেনা। হস্ত শিল্পের মাধ্যমে জীবন পরিচালনার উপকরণ সংগ্রহ করা (আল মাজাহিবুল আরাবায়া খণ্ড: ২ পৃ: ২০২)। মাবরুর তথা কল্যাণকর বেচাকেনা হলো, যাতে ক্রেতা- বিক্রেতার পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণ নিশ্চিত হয়। এতে কোনো ধরনের প্রতারণা আত্মসাৎ ও আল্লাহ্‌র নাফরমানি থাকবে না। রাসূল সা: বলেছেন নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যকে ক্ষতি করা উচিত নয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর