× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বদর দিবস আজ

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এম এ করিম ইবনে মছব্বির
২৯ এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার

আজ সতেরো রমজান। ইয়াওমুল ফোরকান। অর্থাৎ বদর দিবস আজ। আজকের এই দিনে অর্থাৎ দ্বিতীয় হিজরির সতেরো রমজানুল করিম, কুরাইশদের গর্ব ও অহংকারের প্রতীক সরদারে দো জাহান, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক বদর প্রান্তরে তিনশত চৌদ্দ জন মুসলমান সৈনিক এমন কী রণাঙ্গনে সাদা পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় সকল  ফেরেস্তাদের বাহিনীও শরিক হয়েছিলেন। ওই দিন ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল (আ.) হলুদ পাগড়ি পরে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মূলত বদরের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম বিজয় ছিল। ইয়াওমে বদরকে পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ পাক ইয়াওমুল ফোরকান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বদরের যুদ্ধে মাত্র তিনশত চৌদ্দ জন মুসলিম যোদ্ধা সহ নবী করিম (সা.) কুফুর এবং শিরকের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন।
নবীজির বিরুদ্ধবাদী কাফির এবং মুশরিকদের সরঞ্জাম এবং সৈন্যবল ছিল মুসলমানদের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। বদরের ময়দানে নবী করিম (সা.) হাত তুলে মোনাজাত করলেন, হে আল্লাহ্‌- কাফির, মুশরিকরা তাদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আপনার নাম, নিশানা মিটিয়ে দেয়ার জন্য যুদ্ধের ময়দানে হাজির হয়েছে। আর আমরা লা ইলাহা ইল্লাল লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ পড়নেওয়ালা কয়েকজন সৈনিক মহান আল্লাহর চির অনির্বাণ কলেমার লা ইলাহা ইল্লাল লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ’র পতাকা নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে হাজির হয়েছি। ইয়া আল্লাহ আপনি আমাদের একমাত্র নিগাহবান। নবী করিম (সা.)-এর দোয়া মহান আল্লাহ পাক কবুল করলেন। বদর যুদ্ধে কাফির এবং মুশরিকদের শুধু শোচনীয় পরাজয় বলে শেষ নয়, বরং ঐ যুদ্ধে কাফির এবং মুশরিকদের সরদার আবু জেহেল, উতবা, শাইবাকে হত্যা করতে সক্ষম হোন মুসলমান সাহাবীরা। বদরের যুদ্ধ হলো মুসলমানদের প্রকাশ্যে বিজয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর