× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বের প্রথম অন্তঃসত্ত্বা মিশরীয় মমির খোঁজ মিললো

রকমারি

নিজস্ব সংবাদদাতা
১ মে ২০২১, শনিবার

পোলিশ বিজ্ঞানীরা ওয়ারশার জাতীয় জাদুঘরে অদ্ভুত একটি জিনিসের খোঁজ পেয়েছেন। তারা দুই হাজার বছরের পুরনো বিশ্বের প্রথম অন্তঃসত্ত্বা একটি মিশরীয় মমি আবিষ্কার করেছেন। ওয়ারশা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নৃতত্ত্ব বিজ্ঞানী এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ মারজেনা ওজারেক-সিজিলেকে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, 'আমার স্বামী স্ট্যানিসল , একজন মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক এবং আমি এক্স-রে ইমেজের দিকে তাকিয়ে তিন সন্তানের জননী মৃত ওই মহিলার পেটে ছোট দুটি শিশুর পা লক্ষ্য করেছি। 'আরও বিশ্লেষণ করার পর ওয়ারশা মমি প্রকল্পে কাজ করা বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, ওই মহিলার  বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং তিনি ২৬-৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তবে মৃতদেহকে মমিতে রূপান্তরিত করার সময়ে কেন মহিলার দেহ থেকে ভ্রূণ বের করে নেয়া হয় নি সেই নিয়ে সন্দিহান পোলিশ বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানী ওজেক এজমন্ড বলছেন, 'এই কারণেই এই মমিটি সত্যই অনন্য। আমরা এরকম কোনও মমি এর আগে খুঁজে পাই নি। 'প্রত্নতত্ত্ববিদ মারজেনা ওজারেক-সিজিলেক অনুমান করছেন যে এই বিষয়টির সঙ্গে,  বিশ্বাস ও পুনঃজন্ম সম্পর্কিত কিছু বিষয় জড়িয়ে আছে।
হায়ারোগ্লিফগুলির বিশ্লেষণের ভিত্তিতে জানা গেছে, মমিটি মূলত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর। স্ক্যান করে দেখা গেছে যে, মমিটি যে মহিলার তার কাঁধ পর্যন্ত লম্বা কোঁকড়ানো চুল ছিল। গবেষণাটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের পিয়ার-রিভিউড জার্নালের সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে  প্রাচীনকালে গর্ভাবস্থা এবং প্রসূতি সম্পর্কিত বিষয়গুলি জানতে এই মমি নতুন দিক উন্মোচিত করেছে যা গবেষণার কাজে ভীষণভাবে সাহায্য করবে। মমিটি উনিশ শতকে পোল্যান্ডে আনা হয়েছিল এবং ওয়ারশা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর