সারা ভোট তিনি হুইল চেয়ারে ঘুরেছেন। ভোটের ফল বেরোনোর দিন ৩০, বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ির প্রাঙ্গণে মানুষ ও সাংবাদিকদের সামনে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বললেন, প্লাস্টার কাটা হয়েছে। আমি এবার আগের মতোই হাঁটবো। দুপুরের পর রোববার প্রথম মমতার বাড়িতে আসেন তার ভাইপো, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই আসেন প্রশান্ত কিশোর। কালীঘাটের রাস্তায় তখন জনতার জোয়ার। কোভিড বিধির তোয়াক্কা কেউ করছে না। সবুজ আবির, গান- খেলা হবে, মিষ্টিমুখ কিছুই বাদ নেই।
বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তখন রাজপথে। মমতা তখনও দৃশ্যমান হননি। নন্দীগ্রামের ফল প্রকাশ্যে আসতেই মমতা বাইরে এলেন। জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো ছিল মিলন সংঘের মাঠে। কয়েকহাজার জনতা ভার্চুয়াল মাধ্যমে মমতার বক্তব্য শুনলো। মমতা বললেন, সারা ভারতের মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য তিনি আন্দোলন করবেন। ১৪০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে খরচ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এটা কেন্দ্র দিতে পারেনা? তিনি জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে শপথ অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত হবে। কোনও বিজয় মিছিল করবেন না। কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্রিগেডে পরে বিজয় উৎসব হবে বলে মমতা জানান।