ভ্যাকসিনের জন্য উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেত্রী যখন পাশে আছে তখন এই দুঃসময় একদিন কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। গতকাল সিলেট জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। করোনাকে বুঝা বড়ই মুশকিল, কখন কি রূপ ধারণ করে বুঝা যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরকে আরো মনোযোগী হতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করায়। ভারতে আজকে কি অবস্থা, একটি বেড ও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের শ্মশান ও কবরস্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, তাই আমাদের এখন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে প্রতিবেশী ভারতের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের বিপজ্জনক বার্তা থেকে। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শনিবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত মূলসেতুর নির্মাণকাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৩ দশমিক দুই পাঁচ ভাগ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন- নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫.৫ ভাগ। ওবায়দুল কাদের আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন- আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রকল্পের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হচ্ছে এটি, তাই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের কাজ ঝুলে থাকলেও সমপ্রতি গতি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে এডিবি’র সম্মতিও পাওয়া গেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রকল্পটির নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সিলেট বিআরটিএ’কে দুর্নীতির অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেন। তিনি বিআরটিসিকে লোকসানের বৃত্ত থেকেও বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।