আজ বিশতম রমজান। ইতিকাফের মাস হলো রমজান। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাছুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করবে সে দুটি ওমরাহ হজ এবং দুটি হজ আদায় করার সমান সওয়াব পাবে। ইতিকাফ আরবি শব্দ- এর অর্থ হলো অবস্থান করা আর শরীয়তের পরিভাষায় কয়েকটা বিশেষ শর্তে একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফ পালন করা সুন্নতে মোয়াক্কাদায়ে কিফায়া। নবী করিম (সা.) শবেকদরের রাত লাভের আশায় কোনো কোনো সময় সারা রমজান মাসেই ইতিকাফে অবস্থান করতেন। রমজানের বিশতম দিনে প্রতিটা পাড়া-মহল্লার কিছু কিছু মুসল্লি করোনাভাইরাসকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা অনুসরণ পূর্বক ইফতারের আগে থেকেই ইতিকাফের নিয়তে মসজিদের এক কোণে ইতিকাফে বসবেন। পাড়া-মহল্লার মসজিদে কমপক্ষে একজন হলে ইতিকাফে বসতে হবে, নতুবা মসজিদের অধীনস্থ পুরো মহল্লাবাসী গুনাহগার হয়ে যাবেন।
কিন্তু ঐ ইতিকাফকারীকে ইতিকাফের বিনিময়ে কোনো প্রকার তুহফা দেয়া যাবে না। ইতিকাফ হতে হবে লি ওয়াজহিল্লাহ। একমাত্র মহান আল্লাহর জন্য। ইতিকাফের ফজিলত শুধু পুরুষদের জন্য বিশেষায়িত নয়, বরং মহিলারাও নিজ গৃহকোণে ইতিকাফে বসতে পারেন। ইতিকাফকারী ব্যক্তির নড়াচড়া এবং উঠাবসাটাও মহান আল্লাহর নিকট ইবাদতরূপে গণ্য হয়। রাছুলে পাক (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মাত্র একদিন ইতিকাফ করে, মহান আল্লাহ পাক ঐ ইতিকাফকারী ব্যক্তি এবং জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্বের ব্যবধান রাখবেন। এই দূরত্ব হবে আসমান এবং জমিনের দূরত্বের চেয়েও অধিক। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন যে, নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ পালন করতেন। তাঁর ওফাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করে গেছেন। তারপর তাঁর পত্নীগণও ইতিকাফ পালন করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, ইতিকাফকারী নিজেকে পাপমুক্ত করে রাখে এবং তার জন্য পুণ্য সময় জারি রাখা হয় (মিশকাত)।