× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের বৈঠক /তালেবানদের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান

দেশ বিদেশ


৩ মে ২০২১, সোমবার

চলমান আন্তঃআফগান আলোচনায় সমর্থন প্রকাশ এবং এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে সাহায্য করতে সম্প্রতি কাতারের দোহায় বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। তারা আফগানিস্তানে সমঝোতার মধ্যে স্থায়ী ও সর্বাঙ্গীণ যুদ্ধবিরতির বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।

বৈঠক শেষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ বিভিন্ন সন্ত্রাসী দল দমন, এসব গোষ্ঠী যেন আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে অন্য কোন দেশের নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠতে না পারে এবং সন্ত্রাসী দলের সদস্য যোগাড়, প্রশিক্ষণ এবং তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তালেবানরা। আমরা আশা করছি তালেবানরা এসব সন্ত্রাসবিরোধি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। এছাড়া আমরা আরো আশা করছি আফগান সরকার সন্ত্রাসবিরোধি কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করবে।’

তারা আফগানিস্তানের সকল দলকে সহিংসতার মাত্রা হ্রাস এবং তালেবানদের আক্রমণাত্বক না হয়ে ওঠার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিটিতে আরো বলা হয়,‘ আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপর যে কোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা এবং সব ধরনের পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বিধিমালার ওপর সকল দলগুলোকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘আফগানিস্তানে কোন সামরিক সমাধান নেই’ কথাটি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করে বিবৃতিটিতে বলা হয়, আফগানিস্তানের নেতৃত্বে এবং নিজস্ব প্রক্রিয়াই দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার একমাত্র উপায়।

আফগানিস্তান থেকে খুব শিগগিরই নিজেদের সেনাবাহিনী দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রত্যাহার শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে।
তবে আমরা বারবার জানাচ্ছি আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নিলে এখানকার পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হবে। অবশ্য আমরা জোর দিয়ে বলছি এই সেনা প্রত্যাহারের সময়ে শান্তি প্রক্রিয়া কোনভাবেই বিঘ্নিত হবে না, আফগানিস্তানে কোন ধরনের সংঘাত বা যুদ্ধ সংগঠিত হবে না এবং আন্তর্জাতিক সেনাদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে।’
এছাড়া ইউএনএসসি রেজ্যুলেশন ২৫১৩ অনুসারে জাতিসংঘের ১৯৮৮ সালের দেয়া নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী তালেবানদের ব্যক্তি ও সংস্থার পদমর্যাদা পর্যালোচনা করারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সূত্র: এএনআই
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর