আজ বাইশতম রমজান। রমজানের দিনগুলো আমরা সুব্হে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছু খাই না, পান করি না। কিন্তু কেন খাই না, কেন পান করি না? কে আমাদের হাত ধরে রাখে, সকল প্রকার পানাহার থেকে কে আমাদের মুখ বন্ধ করে রাখে? খাবার ও পানীয় জল সামনে থাকা সত্ত্বেও কেন আমরা খাইনা? কে আমাদের বাধা দেয়? লোক ভয়ে, লোক লজ্জায়? কিন্তু যখন কোনো লোকই আমাদের সামনে থাকে না, নিজ গৃহকোণে আমি একা রয়েছি, আমার সামনে রয়েছে অঢেল পরিমাণ উপাদেয় খাবার ও পানীয় জল তখন আমাকে কে বাধা দেয়? তখন আমাকে কেউ বাধা দেয় না সত্য, কিন্তু আমি অনুভব করতে পারি যে, কেউ না দেখলেও আমার মালিক মহান আল্লাহ্ আমাকে দেখছেন। তিনি আমার রক্তের শিরা-উপশিরা এবং অন্তরের খবরটাও শুনছেন এবং অবলোকন করছেন। এভাবেই রমজান মাসে আমাদের ঈমানের পরীক্ষা হয়ে যায়। আমার বিবেক, বুদ্ধি, সচকিত হয়ে উঠে আত্মা জীবিত হয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার ফলে অগ্নিপরীক্ষার ভিতর দিয়ে মহান আল্লাহ্র অস্তিত্বকে বাস্তবিক সত্য করে তোলে মানুষের জীবন এবং মানদণ্ডকে পবিত্র মাস রমজান। রমজান মাসে অনেক হালাল বস্তুকে সাময়িকভাবে দিনের বেলা রোজাদারের জন্য হারাম ঘোষণা করেছেন।
যাতে এর দ্বারা স্থায়ী হারাম বস্তুসমূহকে সারা বছরের জন্য হারাম ঘোষণা করা হয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে এই সমস্ত হারাম কাজসমূহ থেকে বাঁচার শিক্ষা অর্জন হয়। রমজান অস্থায়ী হারাম বর্জন করে আমরা স্থায়ী হারাম বস্তুসমূহ বর্জন করার শিক্ষা অর্জন করতে পারি। আমরা আমাদের পরিবারবর্গকে এটাই উদ্বুদ্ধ করবো যে, এই একমাসে আমাদের পরিবার তথা দেশ ও জাতিকে মহান আল্লাহ্র সর্বপ্রকার নাফরমানীর কাজ থেকে বাঁচাতে হবে। সকল পাপকর্ম থেকে বাঁচার জন্য মুসলিম উম্মাহ্কে উৎসাহিত করতে হবে। রমজানের দিবসগুলো কীভাবে কাটাবেন? কোনো সময় যেন পাপকর্ম না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সুতরাং সকল দিক বিবেচনায় রমজানে বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা, তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের চেষ্টা করা, আল্লাহ্র জিকিরে সিক্ত থাকা।