করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মজুত থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে এই চিঠি দেয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিপুল পরিমাণ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অব্যবহৃত রয়েছে। এই ভ্যাকসিন অনুদান হিসেবে পেতে চায় ঢাকা। তবে অনুদান পেলে সেখান থেকে ভ্যাকসিন কিনতেও আগ্রহী বাংলাদেশ সরকার। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত জন কেরি ঢাকা সফরে এসে ভ্যাকসিন ইস্যুতে কথা বলেন। ওই সময় জন কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জুন মাসের পর বাংলাদেশ চাইলে টিকা পেতে পারে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বহুল ব্যবহৃত ফাইজারের ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী নয় বাংলাদেশ।
কারণ এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সক্ষমতা সরকারের নেই। তবে ফাইজার টিকা আনতে বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে আনতে পারবে। এদিকে গত সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উপহার হিসেবে চীনের দেয়া ৫ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ১০ই মে’র মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের এই টিকা আনার ব্যবস্থা করছে। একইদিনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫ এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যেই এই টিকা দেশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম ধাপে ৪০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধের প্রেক্ষিতে ভ্যাকসিনের বিকল্প উৎস সন্ধান করছে সরকার। গত ২৭শে এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চীন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মজুত থাকা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে। বিকল্প উৎস থেকে টিকা আনতে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।