× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অকূল পাথারে শিশু মিম

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৫ মে ২০২১, বুধবার

মাদারীপুরের শিবচরে বালুভর্তি বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত খুলনার একই পরিবারের ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে নিহত মনিরের মায়ের পাশে সারিবদ্ধভাবে তাদের দাফন করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার রাতে নানির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে পরিবারের সব সদস্য স্পিডবোটে করে তেরখাদার পারোখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পথে দুর্ঘটনায় মারা যায় মিম ছাড়া সবাই। নিহতরা হলেন- তেরখাদার পারোখালী এলাকার মনির শিকদার, তার স্ত্রী হেনা বেগম, শিশু কন্যা সুমি ও রুমি খাতুন। ৫ সদস্যের পরিবারটির একমাত্র সন্তান হিসেবে জীবিত আছে বড় মেয়ে ৮ বছরের মিম। মা-বাবা ও বোনদের হারিয়ে বেঁচে থাকা মিম অকূল পাথারে পড়েছে। পরিবারে এখন আর কেউ নেই তার।
মা-বাবা, দুই বোনকে হারিয়ে শিশু মিমের কান্না যেন থামছে না।
অবুঝ এই শিশুকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষাও নেই স্বজন-প্রতিবেশীদের। এই শিশু এখন কীভাবে কোথায় থাকবে, তার ভবিষ্যৎ কী হবে-এ নিয়ে এখন স্বজন-প্রতিবেশীরা চিন্তিত।
তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে মিমের জন্য এক লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মিম বড় হওয়া এবং তার বিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত আমরা তার ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করবো বলে এলাকাবাসীর কাছে ওয়াদা দিয়েছি।
তেরখাদা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এফএম অহিদুজ্জামান বলেন, গত সোমবার রাত ৭টার দিকে তেরখাদা উপজেলা সদরের পারোখালী গ্রামে মনির শিকদারের বাড়িতে তাদের লাশগুলো এসে পৌঁছে। সেই থেকে বাড়িসহ পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। তিনি জানায়, ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন মনির শিকদার। তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন মিরপুরে। গত রোববার রাত ৮টায় খুলনার তেরখাদার বাড়িতে মারা যান মনির শিকদারের মা। মায়ের লাশ দেখতে পরিবারের সবাইকে নিয়েই খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন মনির। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা।
নিহত মনির শিকদারের ভাই কামরুজ্জামান জানান, রোববার রাতে মা লাইলী বেগম (৯০) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন। মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ওয়ালটনের শো-রুম বন্ধ করে দিয়ে বাড়ি ফেরেন কামরুজ্জামান। গত রোববার রাতে সেহ্‌রি সেরে ঢাকা থেকে তেরখাদায় বাড়ির উদ্দেশ্যে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন মনির শিকদার। পদ্মা নদীর শিবচর এলাকায় পৌঁছে মনির শিকদারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার ভাতিজা মিরাজ শিকদারের। সেখানে শেষ কথা হয়েছিল তাদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর