বীরভূমের নানুরে এক হাজারের বেশি হিন্দু পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে ফাঁকা মাঠে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। নারীদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য- এই ঘটনার সত্যতা প্রমাণে যে ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ভুয়া। এইরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আরেকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল সমর্থকদের দ্বারা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ রিপোর্ট দিয়েছে যে, ভিডিওটি ফেক। ঘটনাটি বাংলার নয়। ওড়িশায় পুলিশ আক্রান্ত হওয়ার একটি ঘটনা। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, তৃণমূল সমর্থকরা ফল প্রকাশের পর বন্দুক ও খোলা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উল্লাস করছেন। ফ্যাক্টচেকে দেখা গেছে, ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত কোনো ঘটনাই নয়।
পুলিশের মতে, ফল বের হওয়ার পর অশান্তি, অসন্তোষ, হিংসা, মৃত্যু ঘটছে না- এটা যেমন ঠিক নয়, তেমনই হিন্দুদের বাড়ি, মন্দির ভাঙচুর হচ্ছে এই তথ্যও ঠিক নয়। কিছু বিজেপি নেতা দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিষয়টিতে হিন্দু-মুসলিম তত্ত্ব নিয়ে আসছেন। প্রচারের পাখি এমন ডানা মেলেছে যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের জাতীয় হিন্দু মহাসভা শুক্রবার একটি জমায়েত পর্যন্ত ডেকেছে। নানুরে হিন্দু মহিলার গণধর্ষিত হওয়ার খবর যে সত্য ঘটনা নয় তার প্রমাণ তথাকথিত ধর্ষিত মহিলার তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসে এসে সাংবাদিক বৈঠক করে ধর্ষণ হয়নি বলে জানানো। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই রাজ্যসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং ডেরেক ওব্রায়েন ফ্যাক্টচেকের মাধ্যমে বহু ফেক ভিডিও উন্মোচিত করে টুইট করেছেন, বিজেপির এই ফেক ভিডিওতে মন দেয়ার সময় এখন নেই। কারণ আমরা কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিশ্বাস করার প্রবণতা যত বেড়েছে তত ফেক ভিডিওর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমান প্রবণতা যে অত্যন্ত বিপজ্জনক তাও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।