× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রযুক্তির হাত ধরে সড়কপথে পণ্য পরিবহনে বাড়ছে আস্থা

তথ্য প্রযুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার
৬ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার
ফাইল ছবি

সহজে, দ্রুত সময়ে পণ্য পরিবহনের সুবিধার জন্য সড়কপথ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাড়ছে ব্যবসায়ীদের আস্থা এবং নির্ভরতাও। কম সময়ে পণ্য আনা-নেয়া করা যায় বলেই এই সেবা বেছে নেয়ার এমন প্রবণতা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট খালি ও পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ২৮ লাখ ৯০ হাজার। এর মধ্যে সড়কপথে ২৭ লাখ ৬১ হাজার ৬২৮টি কনটেইনার পরিবহন হয়েছে, যা মোট কনটেইনারের ৯৫ শতাংশ। রেলপথে ৯৫ হাজার ৩৭২টি কনটেইনার আনা-নেয়া হয়েছে ঢাকার কমলাপুর ডিপো ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে। এই সংখ্যা মোট কনটেইনারের মাত্র ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আর নৌপথে বন্দর থেকে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও নৌ টার্মিনালে আনা-নেয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৪৭৭টি কনটেইনার। পানগাঁও ছাড়াও নৌপথে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরের সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের (এসএপিএল) নৌ টার্মিনালে প্রতিবছর পাঁচ হাজারের মতো কনটেইনার আনা-নেয়া হয়।
সেই হিসাবে নৌপথে পরিবহন হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ কনটেইনার।
এই পথটা বেছে নেয়া হয় দ্রুততম সময়ে, অর্থাৎ দিনে দিনেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পণ্য আনা-নেয়া করা হয়। দেশের অন্যান্য জায়গার ক্ষেত্রেও একই সুবিধা পাওয়া যায়। অন্যদিকে রেলপথে সড়কের চেয়ে বেশি সময় লাগে, আর নৌপথে তো অনেক বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়। সে জন্য কনটেইনার পরিবহনে সড়কপথেই ব্যবসায়ীদের ঝোঁক বেশি।
সড়কপথে পণ্য পরিবহনের চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে এই সেবার মানও। সেবাকে আরও সহজলভ্য ও দ্রুতগতি করার লক্ষ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে প্রযুক্তি। সড়কপথে পণ্য পরিবহনের সিংহভাগই হয়ে থাকে খোলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, টিপার ট্রাক, ট্রেইলার ট্রাক, কংক্রিট মিক্সার, পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার এবং রেফ্রিজারেটেড ভ্যানের মতো গাড়িগুলোতে।
ট্রাক ভাড়া করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের যাতে কোন ভোগান্তি না হয়, তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে ডিজিটাল ট্রাক সেবা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একজন ব্যবসায়ীকে সহজলভ্যতা, মালামাল সঠিক স্থানে পৌঁছালো কিনা, ভাড়া নির্ধারণ, ট্রাক এবং চালক কতটা নিরাপদ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ভাড়া করতে হয় ট্রাক। এই খাতে একটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে একাধিক সেবা প্রধানকারী প্রতিষ্ঠান, যার মধ্য অন্যতম ই-যোগাযোগ লিমিটেড এর ‘জিম ডিজিটাল ট্রাক’। ‘পণ্য পরিবহনে প্রযুক্তি’ এই স্লোগান নিয়ে সারাদেশে এন্টারপ্রাইজ লজিস্টিকস সেবা দিয়ে আসছে জিম। অ্যাপের পাশাপাশি এন্টারপ্রাইজ কাস্টমারদের জন্য রয়েছে ডেডিকেটেড ড্যাশবোর্ড। মোবাইল থেকেই জিমে যেকোন সময়, যেকোন স্থান থেকে ট্রাক ভাড়া করা যায় খুব সহজেই। বর্তমানে জিম ১৫ হাজারেরও অধিক ভেরিফাইড নিবন্ধিত ট্রাক, দেড় লক্ষাধিক টন পণ্য পরিবহন ক্ষমতা, ও বাংলাদেশের প্রথম সারির কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতীয় প্রকল্পে পরিবহন সেবা দিয়ে বিপুল সংখ্যক সন্তুষ্ট গ্রাহক নিয়ে দেশের প্রায় সবগুলো জেলায় পরিবহন সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পরিবহন সেবা খাত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর