তিনি শপথ নিয়েছেন বুধবার সকালেই। সেদিনই সন্ধ্যা ৭ টায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় রাজ্যে হিংসা না কমলে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার চিঠি পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে রাজ্যে পরিস্থিতি দেখতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবস্থার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও বিজেপির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, জনাদেশকে উপেক্ষা করবেন না। বিপুল সংখ্যক মানুষ আমাদের জিতিয়ে এনেছে। দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেস সচেতন। এখন সংঘাত, ঝগড়া ভুলে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করি। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াই।
মমতা অভিযোগ করেন যে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যে এসে উস্কানিমূলক কথা বলে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এগুলো বন্ধ করুন। কোভিডে জর্জরিত মানুষ। তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করি। মুখ্যমন্ত্রী ভোটের পরে সংঘর্ষে নিহত ১৭ জনের পরিবারের জন্যেই ২ লাখ টাকা করে সাহায্য দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বিজেপির, ৮ জন তৃণমূলের ও ১ জন আইএসএফের। মমতা বলেন, অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তিনি বুধবার শপথ নেয়ার আগে। ওই সময়টাতে মডেল আইন অনুযায়ী রাজ্যে নির্বাচিত কোনো সরকার ছিল না। ক্ষমতায় এসে তিনি যে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছেন তা জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিনি মনে করিয়ে দেন হাতড়াস ধর্ষণ এবং দিল্লি-উত্তরপ্রদেশের দাঙ্গার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে সরকার কি ভূমিকা নিয়েছিল? বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সবাই সমস্বরে তার বিরুদ্ধে গলা চড়াচ্ছেন অভিযোগ জানিয়ে মমতা বলেন, আসামের এক বিজেপি নেতা বলেছেন, দলে দলে বিজেপি কর্মীরা আসামে আশ্রয় নিচ্ছেন। আসামে দাঙ্গার সময় যখন আসাম থেকে মানুষ এখানে চলে এসেছিলো আমি তো কিছু বলি নি। আসলে কোচবিহারে বিজেপি বেশি আসন পেয়েছে। ওখানে সংঘাত বেশি হচ্ছে। কিছু মানুষ নিকটবর্তী আসামে যেতে পারে। কিন্তু সংখ্যাটি নগন্য। যারা গেছেন তাদেরও যাওয়ার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না। মমতা আবেদন করেন, এই সময়টা বিপন্নতার সময়। এখন ক্ষুদ্র স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, আসুন মানুষের জন্যে কাজ করি।