ভারতে করোনাভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্ট তাণ্ডব চালাচ্ছে তা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, সীমান্তে কঠিন নিয়ন্ত্রণ এবং ভাইরাসবিরোধী পদক্ষেপ না নিলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও ভয়াবহ অবস্থায় পড়তে যাচ্ছে। কারণ, এ অঞ্চলে এখনো ভ্যাকসিন কার্যক্রম বেশিদূর আগায়নি এবং দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানও ভালো নয়।
গত বুধবার নেপালে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬০০ কোভিড রোগী। একটানা ৭ দিন দেশটিতে ৭ হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটির সরকার নানামুখী পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশে গত মার্চ থেকে কোভিড সংক্রমণের উচ্চ হার দেখা যায়। তবে তা এখন কমে এসেছে।
৭ই এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের কোভিড শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। তবে গত বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮২২।
ভারত ও নেপাল আগেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রীলঙ্কাও গত বৃহস্পতিবার ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেছে। সংক্রমণ থামাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর এখন সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর উপায় নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন কার্যক্রমও বৃদ্ধি করতে হবে।