× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইইউ'র চেয়ে টিএলপির সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে পাকিস্তান: ইএফএসএএস

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
৮ মে ২০২১, শনিবার

পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন অবমাননা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অভিযোগের বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ইমরান খান সরকার মূলত জানিয়ে দিলো, ২৭টি গণপ্রজাতন্ত্রী দেশের চেয়ে সন্ত্রাসী দল তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা তাদের জন্য ‘আরো গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান।’ ইউরোপের গবেষণা সংস্থা ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (ইএফএসএএস) পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সর্বশেষ অধিবেশনে উত্থাপিত এক প্রস্তাবনায় দাবি করা হয়, পাকিস্তানকে ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ করে দিতে হবে। পাশাপাশি দেশটিতে ব্লাসফেমি আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগের অভিযোগ বেড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের জন্য জেনারেল স্কিম অব প্রেফারেন্সের প্লাস (জিএসপি+) সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখার আহ্বান জানানো হয় ইইউ কর্তৃপক্ষকে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ইইউ থেকে এ বাণিজ্যিক সুবিধা পেয়ে আসছে পাকিস্তান। উন্নত মানবাধিকার রেকর্ড রয়েছে এমন হাতে গোনা কয়েকটি দেশকে ইইউর সঙ্গে বর্ধিত ও অগ্রাধিকারমূলক মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হয় জিএসপিপ্লাসের মাধ্যমে।

ইইউ'র এই রেজ্যুলশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩রা মে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বিতর্কিত ব্লাসফেমি আইন নিয়ে তারা কোন ধরনের আপোষ করবে না।

পাকিস্তানের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইএফএসএএসের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউরোপিয় পার্লামেন্টের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে পাকিস্তান সরকার পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিলো ইইউ'র ২৭ গণতান্ত্রিক দেশের চেয়ে টিএলপির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা তাদের কাছে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান।
সংস্থাটি আরো জানায়, পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাবনার বিষয়ে ‘যে ধরনের নিম্ন মনোভাব’ প্রদর্শন করলো ‘তা পাকিস্তানের বিশাল সংখ্যক জনগণের মতামতের পুরোপুরি বিপরীত।’

গত ২রা মে পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডন-এ প্রকাশিত এক সম্পাদকীতে ইউরোপের রেজ্যুলেশনকে ‘গভীর উদ্বেগজনক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়টিও ইএফএসএএস উল্লেখ করেছে।

গত মাসে প্রকাশিত ইইউ'র এই রেজ্যুলেশনে পাকিস্তান সরকারকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা ও নির্যাতনের প্রতি ‘নিন্দা জানানোর’ আহ্বান করা হয়। এছাড়া পাকিস্তানে উদীয়মান ফ্রান্স-বিরোধী মনোভাব নিয়েও রেজ্যুলেশনটিতে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়।

ইএফএসএএস জানিয়েছে, ‘১৯৮৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইন নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে বলে রেজ্যুলেশনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে আরো বলা হয়েছে পাকিস্তান সরকারকে, ‘দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করতে হবে এবং ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর, পদ্ধতিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’

সূত্র: এএনআই
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর